ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেছেন, করোনার মাধ্যমে পুলিশের জন্য নতুন একটি ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে। সম্পূর্ণ অপ্রস্তুত অবস্থায় পুলিশ করোনা মোকাবিলায় ঝাঁপিয়ে পড়ে। জনগণকে সচেতন করার পাশাপাশি সকল প্রতিকূলতা মোকাবিলা করে কাজ করছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের কনফারেন্স রুমে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গুলশান বিভাগের বিভিন্ন কার্যক্রম নিয়ে লেখা নান্দনিক ও তথ্যবহুল স্মরণিকা ‘জাগরণ’ এর মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে ডিএমপি কমিশনার এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, বছরের শুরুতে ‘মুজিববর্ষের অঙ্গীকার, পুলিশ হবে জনতার’ মূলমন্ত্রকে ধারণ করে জনতার পুলিশ হওয়ার প্রত্যয় নিয়ে কাজ শুরু করেছিলো পুলিশ। কিন্তু করোনা মহামারির কারণে আমাদের এই কাজ ব্যাহত হয়। তবে সম্পূর্ণ অপ্রস্তুত অবস্থায় পুলিশ করোনা মোকাবিলায় ঝাঁপিয়ে পড়ে।
কমিশনার বলেন, সম্মুখযোদ্ধা হিসেবে সামাজিক দূরত্ব, কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করা, যারা হাত পাততে পারে না, তাদের খাদ্য উপহার বিতরণ, অসুস্থ রোগীকে হাসপাতালে নেয়া ও মৃত ব্যক্তির সৎকারের ব্যবস্থা করেছে পুলিশ। করোনাকালে পুলিশের আন্তরিক ভূমিকা প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে সর্বস্তরের জনগণের কাছে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে।
বইটি প্রকাশের জন্য গুলশান বিভাগের সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, পুলিশ তাদের দায়িত্ব ও কর্তব্যের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরণের জনকল্যানমূখী কাজ করে থাকে। কিন্তু উক্ত কাজের কোনও ডকুমেন্টেশন থাকে না। জাগরণ হচ্ছে তথ্যচিত্র সম্বলিত পুলিশের কার্যক্রমের এমনই একটি ডকুমেন্ট।
স্মরণিকাটি প্রকাশের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন গুলশান বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী। স্মরণিকাটি উৎসর্গ করা হয়েছে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে।