নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জাকে গ্রেপ্তার করা হবে এমন গুজব ছড়িয়ে পড়েছিল পুরো জেলায়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে শুত্রবার দুপুর পর্য়ন্ত গুজবেই সীমাবদ্ধ ছিল। তবে বৃহস্পতিবার থেকে পৌরসভা ভবনের চারপাশ ঘিরে রেখেছে পুলিশ। আর ভবনের ভেতরে রাত কাটিয়েছেন মেয়র আবদুল কাদের মির্জা।
শুক্রবার (১২ মার্চ) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নোয়াখালী পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন জানান, বসুরহাটের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ রাখতে সেখানে তিন শতাধিক পুলিশ ও র্যাবের সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, বসুরহাট পৌরসভায় আগামী কয়েক দিন বসুরহাটের গুরুত্বপূর্ণ স্থান গুলোয় পুলিশ সদস্যরা অবস্থান করবে। পুলিশের একাধিক মোবাইল টিম সার্বক্ষণিক টহলে রয়েছে। টহল দিচ্ছেন র্যাবের সদস্যরাও।
সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এ ব্যবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
অপরদিকে, গতকাল বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টার দিকে জেলা শহর থেকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান বাদলকে পৌরসভা ভবনে হামলা-ভাঙচুর ও গুলির মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হবে বলে জানা গেছে।
এদিকে, মঙ্গলবার সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত আলাউদ্দিনের ছোট ভাই এমদাদ হোসেন বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে কাদের মির্জাকে প্রধান আসামি করে একটি লিখিত অভিযোগ নিয়ে থানায় যান। কিন্তু এজাহারে কিছু ত্রুটির থাকা কথা বলে পুলিশ সেটি গ্রহন করেনি বলে জানান এমদাদ হোসেন।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার বিকেল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বসুরহাট পৌর মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের সমর্থকদের সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনায় আলা উদ্দিন নামের এক সিএনজি চালক নিহত হয়েছেন।
নিহত আলা উদ্দিনকে নিজের সমর্থক বলে দাবী করেছেন মিজানুর রহমান বাদল। সংঘর্ষে ওসি মীর জাহিদুল হক রনি ও পাঁচ পুলিশসহ অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। গুলিবিদ্ধ হয়েছেন অন্তত ১০জন। এদের মধ্যে জাকের হোসেন হৃদয় নামের একজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা প্রেরণ করা হয়েছে। গুলিবিদ্ধ অপর ৯ জন নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।