নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে আওয়ামী লীগের দু’পক্ষের মধ্যে চলমান বিরোধ ও সহিংসতায় সিএনজি চালক আলা উদ্দিন নিহতের ঘটনার তৃতীয় দিনেও সর্তক অবস্থানে রয়েছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। পৌর এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে সাতটি ককটেল ও ২৫টি লাঠি উদ্ধার করেছে পুলিশ। এদিকে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে আলা উদ্দিন ও আ. লীগ নেতা মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খানের ওপর হামলার ঘটনায় লিখিত অভিযোগ এনে বাদী পক্ষ থানায় বসে থাকলেও তা এখনও নথিভুক্ত করেনি পুলিশ।
শুক্রবার (১২ মার্চ) দুপুরে গ্রেপ্তারকৃত মিজানুর রহমান বাদলকে চাপরাশীরহাট পূর্ব বাজারে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনার মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে নোয়াখালী বিচারিক আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দীপক জ্যোতি খীষা।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি মীর জাহেদুল হক রনি জানান, বসুরহাট রূপালী চত্বর এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে ৭টি ককটেল ও ২৫টি লাঠি উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এসময় কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। অস্ত্র উদ্ধার ও আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যহত রয়েছে।
এদিকে বসুরহাট পৌর ভবনে হামলার অভিযোগ এনে বৃহস্পতিবার রাতে পৌরসভার কর্মচারী নূর নবী বাদী হয়ে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলকে প্রধান আসামি করে ৯৯ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরও ২৫০-৩০০ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
অপরদিকে মঙ্গলবারের সংঘর্ষে সিএনজি অটোরিকশা চালক আলা উদ্দিন নিহতের ঘটনায় তার ছোট ভাই এমদাদ হোসেন বাদী হয়ে ১৬৪ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা আরও ৩০-৪০ জনকে আসামি করে বৃহস্পতিবার রাতে কোম্পানীগঞ্জ থানায় অভিযোগ দিলেও পরবর্তীতে সংশোধন করতে হবে বলে আবেদনটি জমা নেয়নি পুলিশ। আবেদনটিতে মেয়র আবদুল কাদের মির্জা, তার ভাই শাহাদাত হোসেন ও ছেলে মির্জা মাসরুর কাদের তাসিককে আসামি করা হয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টার দিকে নোয়াখালী প্রেসক্লাব এলাকার রেড ক্রিসেন্ট ভবনের সামনে থেকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ. লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান বাদলকে গ্রেপ্তার করে সাদা পোশাকের পুলিশ।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার (৯ মার্চ) বিকেল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বসুরহাট পৌর মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের সমর্থকদের সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনায় আলা উদ্দিন নামের এক সিএনজি চালক নিহত হন। হাসপাতালে এসে নিহত আলা উদ্দিনকে নিজের সমর্থক দাবি করেন মিজানুর রহমান বাদল। সংঘর্ষে ওসি মীর জাহিদুল হক রনি ও পাঁচ পুলিশসহ অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হন। গুলিবিদ্ধ হয়েছেন অন্তত ১০ জন।