মিয়ানমারে বিক্ষোভকারীদের ওপর নির্বিাচারে গুলি চালিয়ে গণহত্যার তীব্র সমালোচনা করে বিবৃতি দিয়েছে ১২ দেশের সেনাপ্রধান। ১ ফেব্রুয়ারি সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকে গণতান্ত্রিক আন্দোলনকারীদের ওপর সেনাবাহিনীর হামলায় এ পর্যন্ত প্রাণহানির সংখ্যা চার শতাধিক।
এ ঘটনায় রোববার সমন্বিত এক বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারী দেশগুলো হলো যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, জার্মানি, গ্রিস, ইতালি, ডেনমার্ক, নেদারল্যান্ডস ও নিউজিল্যান্ড।
বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারী দেশগুলোর সেনাপ্রধানরা বলেন, ‘একটি পেশাদার সেনাবাহিনী অবশ্যই নিজেদের আচরণে আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখতে বাধ্য। তাদের কাজ জনগণকে রক্ষা করা, তাদের হত্যা করা নয়। আমরা মিয়ানমার সেনাবাহিনীকে অতিসত্ত্বর এই সহিংসতা কার্যক্রম বন্ধ রাখার জোর দাবি এবং এই সংঘাতের ফলে মিয়ানমারের যেসব ক্ষতি হয়েছে, তা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে কাজ করতে আহ্বান জানাচ্ছি।’
শনিবার (২৭ মার্চ) মিয়ানমারে সশস্রবাহিনী দিবসে দেশটির আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অন্তত ১১৪ জন ব্যক্তিকে হত্যা করার পরপরই এই সম্মিলিত বিবৃতি আসে। জাতিসংঘের অনুসন্ধানকারী দল মিয়ানমার সেনাবাহিনীর এ কাজকে ‘গণহত্যা’ বলে অভিহিত করেছে। সেনাবাহিনীর এ হত্যাযজ্ঞ থেকে রেহাই পায়নি শিশুরাও।
শনিবার সেনাবাহিনী ও দেশটির সশস্ত্র বিপ্লবী বাহিনীগুলোর মধ্যে তীব্র সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে। সেনাবাহিনীর বিমানের রেইডের ফলে কারেন মাইনোরিটি নামের একটি সশস্ত্র বাহিনী নিয়ন্ত্রিত গ্রামে তিনজন মারা গেছে বলে জানায় একটি সিভিল সোসাইটি গ্রুপ। এর আগে কারেন ন্যাশনাল ইউনিয়ন দাবি করে, তারা থাই সীমান্তের কাছে একটি আর্মি পোস্টে ১০ জনকে হত্যা করেছে। এয়ার রেইডের ফলে গ্রামবাসীরা ভীত হয়ে জঙ্গলে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে।
এ বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর কাছ থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
সূত্র: বিবিসি