অমর একুশে বইমেলার ১৫তম দিনে নতুন বই এসেছে ৭২টি। বৃহস্পতিবার (০১ এপ্রিল) মেলা শুরু হয় বিকেল তিনটায়, চলে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা পর্যন্ত। তবে বাংলা একাডেমির সিদ্ধান্তে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় মেলা বন্ধ ও ছয়টার পর প্রবেশদ্বার বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়ছেন দর্শনার্থী ও বইপ্রেমীরা। সন্ধ্যার পরও অসংখ্য দর্শনার্থী মেলায় ঢোকার চেষ্টা করেন। প্রবেশদ্বারের সামনে তাই ভিড় ছিল। ঢুকতে না পেরে পরে হতাশ ও ক্ষুব্ধ হয়ে ফিরে যেতে দেখা গেছে তাদের।
নতুন আসা ৭২টি বইয়ের মধ্যে রয়েছে ২২টি কবিতা, ১৫টি গল্প, ১০টি উপন্যাস, ছয়টি প্রবন্ধ, চারটি বঙ্গবন্ধু বিষয়ক, তিনটি ইতিহাস, দুইটি জীবনী, একটি করে শিশুসাহিত্য, মুক্তিযুদ্ধ, বিজ্ঞান, রম্য/ধাঁধা ও অনুবাদ এবং পাঁচটি অন্যান্য বিষয়ের বই। আগামীকাল শুক্রবার (০২ এপ্রিল) ছুটির দিনে অমর একুশে বইমেলা শুরু হবে বেলা ১১টায় এবং চলবে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা পর্যন্ত।
প্রতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসজুড়ে বইমেলা চললেও করোনাভাইরাসের কারণে এ বছর হচ্ছে ১৮ মার্চ থেকে, চলবে আগামী ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত।
বইমেলা শুরুর দিকে প্রতিদিন বেলা তিনটা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত খোলা থাকত। সরকারি ছুটির দিনে মেলা চলেছে বেলা ১১টা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত। গত সোমবার (২৯ মার্চ) করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারের ১৮ দফা নির্দেশনার ভিত্তিতে মেলার সময় এক ঘণ্টা কমানো হয়। ফলে রাত আটটা পর্যন্ত মেলা চলছিল।
ক্রমবর্ধমান করোনা পরিস্থিতিতে বুধবার (৩১ মার্চ) থেকে মেলা শেষ হচ্ছে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায়। প্রবেশের জন্য উন্মুক্ত রাখা হয় সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত।
বরাবরের মতো এবারও বইমেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ ও ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রায় ১৫ লাখ বর্গফুট জায়গায়। একাডেমি প্রাঙ্গণে ১০৭টি প্রতিষ্ঠানকে ১৫৪টি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ৪৩৩টি প্রতিষ্ঠানকে ৬৮০টি স্টল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে মোট ৫৪০টি প্রতিষ্ঠান পেয়েছে ৮৩৪টি স্টল ও ৩৩টি প্যাভিলিয়ন। গত বছরের মতো এবারও লিটল ম্যাগাজিন চত্বর স্থানান্তরিত হয়েছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মূল মেলা প্রাঙ্গণে। সেখানে ১৩৫টি লিটলম্যাগকে পাঁচটি উন্মুক্ত স্টলসহ ১৪০টি স্টল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।