প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমি বিশ্বাস করি মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবিলায় আমরা এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি অভিজ্ঞ, দক্ষ, প্রশিক্ষিত ও সাহসী। বুধবার (৭ এপ্রিল) বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণের মধ্যে পুরো পৃথিবী কঠিন সময় পার করছে। আমরা করোনা সংক্রমণের প্রথম দিকে সমন্বিত ও কার্যকর কর্মসূচি হাতে নিয়েছিলাম। সীমিত জনবল, চিকিৎসা সামগ্রী ও জনসচেতনতা বৃদ্ধি, করোনা পরীক্ষা, টেলিমেডিসিন সেবা, কোয়ারেন্টিন, কোভিড হাসপাতাল স্থাপন, অক্সিজেনসহ জীবন রক্ষাকারী সামগ্রী সরবরাহ, চিকিৎসক ও নার্স নিয়োগসহ নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। এসব কারণে অন্যান্য দেশের তুলনায় আমরা করোনা নিয়ন্ত্রণে সফলতা অর্জন করেছি।
সরকারপ্রধান বলেন, বিশ্বের অনেক দেশের আগেই বাংলাদেশ কোভিড-১৯ মোকাবিলায় টিকাদান কার্যক্রম শুরু করেছে। ১ কোটি ২ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন দেশে আনা হয়েছে। টিকাদানে বিশ্বের প্রথম সারির ২০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মহামারি মোকাবিলায় যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ, অর্থনীতি পুনরুদ্ধার এবং জীবনযাত্রার মান সচল রাখার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের ব্লুমবার্গ প্রণীত কোভিড-১৯ সহনশীল র্যাংকিংয়ে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায় শীর্ষ ও বিশ্বে ২০তম স্থান পেয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক ব্যক্তিগতভাবে বাংলাদেশের করোনা মোকাবিলার জন্য আমাদের বিভিন্ন পদক্ষেপের প্রশংসা করেছেন।
শেখ হাসিনা বলেন, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ প্রতিরোধের জন্য মাস্ক ব্যবহার, স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ, হাঁচি-কাশির শিষ্টাচারসহ অন্য অভ্যাসগুলো আমাদের মেনে চলতে হবে।