দেশব্যাপী লকডাউনের তৃতীয় দিন বুধবার (৭ এপ্রিল) রাজধানীতে গণপরিবহন চলাচল শুরু হয়েছে। লকডাউনের শুরুর দুদিন সোমবার ও মঙ্গলবার বন্ধ ছিল গণপরিবহন চলাচল। আজ সকাল থেকে রাজধানীতে বাস চলতে দেখা গেছে। অন্যান্য পরিবহনও চলছে আগের মতো।
এর আগে সোমবার ( ৫ এপ্রিল) থেকে সারাদেশে লকডাউন শুরু হয়। জরুরি সেবার বাইরে সব ধরনের পরিবহন চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়। তবে একদিনের মাথায় সিদ্ধান্তে পরিবর্তন আনে সরকার। মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) সরকারি বাসভবন থেকে এক ভিডিও বার্তায় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানান- বুধবার (৭ এপ্রিল) থেকে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের সিটি করপোরেশন এলাকায় গণপরিবহন চলবে। সকাল ছয়টা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত সিটি এরিয়ার মধ্যে ওই পরিবহন চলাচল করবে।
তিনি বলেন, তবে ওই সব পরিবহন সিটি এরিয়ার বাইরে যেতে পারবে না এবং বাইরে থেকে অন্য কোনো পরিবহন ঢুকতে পারবে না। সিটি করপোরেশনের আওতার বাইরে কোন পরিবহন চলাচল করবে না।
প্রসঙ্গত, করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সরকারের পক্ষ থেকে আবারও দুই সপ্তাহের জন্য কড়াকড়ি আরোপ করে ১৮ দফা নির্দেশনা প্রকাশ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে সব ধরনের জনসমাগম বন্ধ ঘোষণা করা। সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এই নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। কড়াকড়ির মধ্যে আরো রয়েছে, রাত ১০টার পর অপ্রয়োজনে বাইরে যাওয়া যাবে না, হোটেল রেস্তোরাঁয় আসন সংখ্যার অর্ধেকের বেশি পূরণ করা যাবে না, গণপরিবহনে ৫০ ভাগের বেশি যাত্রী পরিবহন করা যাবে না, অফিস আদালতে ৫০ শতাংশের বেশি জনবল রাখা যাবে না, মিটিং করতে হবে যথাসম্ভব অনলাইনে।
সরকারের ১৮ দফা নির্দেশনার পরিপেক্ষিতে বুধবার (৩১ মার্চ) থেকে ধারণক্ষমতার অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলাচল করছে গণপরিবহন। এজন্য ৬০ শতাংশ অতিরিক্ত ভাড়া দিতে হচ্ছে যাত্রীদের।
গত বছরের ২১ মার্চ থেকে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের মধ্যে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয় সরকার। পরে ওই বছরের ১ জুন থেকে স্বাস্থ্যবিধি মানার শর্তে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে গণপরিবহন চলাচলের অনুমতি দেয় সরকার। তখনও ৬০ শতাংশ ভাড়া বাড়ানো হয়েছিল। করোনা সংক্রমণ একটু কমে গেলে সেপ্টেম্বরে শতভাগ আসনে যাত্রী নিয়ে চলাচল শুরু হয়।