বুধবার (১৪ এপ্রিল) থেকে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত সাতদিনের কঠোর লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার। দ্বিতীয় দফার এ লকডাউনে সরকারি-বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকবে। গণপরিবহনও চলবে না। গার্মেন্টস কারখানাও বন্ধ থাকবে। শুধুমাত্র জরুরি সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম চলবে।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন শুক্রবার (৯ এপ্রিল) দুপুরে সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। রোববার (১১ এপ্রিল) লকডাউনের প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে বলে তিনি জানান।
এ বিষয়ে তিনি বলেন, ১৪ এপ্রিল থেকে জরুরি সেবা ছাড়া সরকারি-বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। গার্মেন্টস কারখানা বন্ধ থাকবে। গণপরিবহনও চলবে না।
প্রতিমন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশেই এ কঠোর লকডাউন। করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে এর বিকল্প নেই। লকডাউন চলাকালে কোনোভাবেই মানুষকে ঘরের বাইরে আসতে দেয়া হবে না। কেউ লকডাউনের বিধিনিষেধ না মানলে আইন অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এর আগে প্রথম দফায় ৫ থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউন ঘোষণা করে সরকার। সেই লকডাউনে গণপরিবহন, শপিংমল, বিনোদনকেন্দ্রসহ সবকিছু বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয়া হলেও তিনদিনের মাথায় গণপরিবহন বন্ধের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা হয়। ঢাকাসহ দেশের সিটি করপোরেশন এলাকায় সকাল থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত গণপরিবহন চলাচলের অনুমতি দেয়া হয়।
পরে বৃহস্পতিবার থেকে শপিংমল খুলে দেয়া হয়। প্রথম দফা লকডাউন শেষ হওয়ার দুদিন আগে আজ দ্বিতীয় দফা লকডাউনের ঘোষণা দিলেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী। এ দফায় কঠোর লকডাউন চালু করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন। এবারের লকডাউনে সরকারি-বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকবে বলে জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় গত বছরের মার্চে দেশে প্রথমবার বেশ কিছু দিন সাধারণ ছুটি ও লকডাউন ঘোষণা করেছিল সরকার। পরে ধাপে ধাপে ছুটি ও লকডাউন বাড়ানো হয়। করোনা সংক্রমণ কিছুটা কমে যাওয়ার পর ছুটি ও লকডাউন তুলে নেয়া হয়। সম্প্রতি করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুহার বেড়ে যাওয়ায় আবারো লকডাউন ঘোষণা করলো সরকার।