করোনা ভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে চলমান বিধিনিষেধ বা লকডাউন আরও এক সপ্তাহ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। আগামী ৫ মে পর্যন্ত এই ‘বিধিনিষেধ’ বহাল থাকবে। সোমবার (২৬ এপ্রিল) বিষয়টি জানান জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। আগামীকাল মঙ্গলবার এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, কোভিড-১৯ বিস্তার রোধে সার্বিক কার্যাবলী/চলাচলে চলমান বিধি-নিষেধ বা ‘লকডাউন’ আরও এক সপ্তাহ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামীকাল (মঙ্গলবার) প্রজ্ঞাপন হতে পারে।
তিনি আরও জানান, বৈশ্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এবং জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে কোভিড-১৯ বিস্তার রোধে চলমান বিধিনিষেধ আরও এক সপ্তাহ বাড়ানোর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘তবে দোকানপাট, শপিংমল সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। বিভিন্ন অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে মার্কেটটা খোলা রাখতে হচ্ছে, তাদের এখানে বড় ধরনের বিনিয়োগের বিষয় রয়েছে। এখন মার্কেট ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকছে, সেটা এক ঘণ্টা কমিয়ে রাত ৮টা পর্যন্ত হবে। কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে মার্কেট ও দোকান পরিচালিত হবে।’
ফরহাদ হোসেন আরও বলেন, ‘ভারতের অবস্থা তো খুবই খারাপ হয়ে গেছে। ভারতেরটা (করোনাভাইরাস সংক্রমণ) যদি এখানে ঢুকে পড়ে, এর মধ্যে যদি আবার আমাদের এখানে সবকিছু খুলে দেয়া হয়, তবে পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে। তাই সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সরকার প্রথমে ৫ এপ্রিল গণপরিবহন ও অফিস-আদালত চালু রেখে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ জারি করেছিল। পরে তা আরও দুদিন বাড়ানো হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত সর্বাত্মক লকডাউন দেওয়া হয় দেশব্যাপী। এরপর ২২ এপ্রিল থেকে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউন বাড়ানো হয়। এতেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় এই মেয়াদ আরও এক সপ্তাহ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিল সরকার। শপিংমল-দোকানপাট খোলা থাকলেও অফিস আদালত এবং গণপরিবহন বন্ধ রয়েছে।