পাবনার কুষ্টিয়া সীমান্ত এলাকার শিলাইদাহ পয়েন্টে দীর্ঘদিন যাবৎ অবৈধভাবে কোটি টাকার বালু উত্তলোন করে আসছে একটি প্রভাবশালী চক্র। এই সংবাদ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর পাবনা জেলা পুলিশ বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে বিশেষ অভিযানে নামে।
পাবনার পুলিশ সুপার মহিবুল ইসলাম খান বিপিএম এর নির্দেশনায় সোমবার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলমের নেতৃত্বে কৌশলগত কারণে সাদা পোশাকে পুলিশের কয়েকটি চৌকশ দল বালু বহনকারী ট্রাক আসার সূত্র ধরে শিলাইদহ পয়েন্টে অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে বালু উত্তোলন করা ভেকু ফেলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। এর আগে পাবনা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ নাসিম আহম্মেদ সকাল থেকে ঐ এলাকায় বালুবহনকারী ট্রাক বিষয়ে গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করে অভিযান কার্যক্রম সহযোগিতা করেন। অপরদিকে দোগাছী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলী হাসান বালির ট্রাক আটকাতে কর্মীদের নিয়ে পুলিশের কাজে সহযোগিতার জন্য এগিয়ে আসেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম বলেন, গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর এসপি স্যারের নির্দেশে পবিত্র মাহে রমজানের মাঝেও তীব্র গরম উপেক্ষা করে ট্রাকের সূত্র ধরে পদ্মার দুর্গম চরে গিয়ে অবৈধ বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান করি। আমাদের উপস্থিতি টের পেয়ে বালুদস্যুরা পালিয়ে যায়। এ সময় বালুভর্তি ৭টি ট্রাক আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়। এ বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
পাবনার পুলিশ সুপার মহিবুল ইসলাম খান অভিযানের বিষয়ে বলেন, পাবনার ওপর দিয়ে অবৈধভাবে বালুভর্তি ট্রাক চলতে দেওয়া হবে না। আগামী দিনে প্রয়োজনে চেকপোস্ট বসিয়ে বালুর ট্রাকসহ অবৈধ কার্যক্রম কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে।
তিনি আরও জানান, অবৈধভাবে বালু উত্তলোনের সাথে জড়িতরা যত শাক্তিশালী হোক না কেন, তাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে। সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তলোনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যহত থাকবে। দেশ ও জাতির কল্যাণকর কাজে পাবনা জেলা পুলিশ সব সময় জনসাধারণের পাশে থাকবে।