করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে বিপর্যস্ত ভারত। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ সংক্রমিত হচ্ছেন। হাসপাতালে বেড নেই, পর্যাপ্ত অক্সিজেনের অভাবে মারা যাচ্ছেন মানুষ। কবরস্থানে, শ্মশানে উপচে পড়ছে মৃতদেহ। তবু সৎকার করার কেউ নেই। সংবাদ মধ্যমের পাতায় একেরপর এক ভেসে আসছে হৃদয় বিদারক নানা চিত্র। কোথাও স্বামীর দেহ আকড়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন স্ত্রী, কোথাও বা ছেলেকে ফিরিয়ে না আনতে পারার বুক ফাটা আর্তনাদ মায়ের। কোথাও বা চরম আমানবিকতার ছবি উঠে আসছে সমাজের বিভিন্ন স্তর থেকে।
https://youtu.be/fe3BqA6wb2g
এবারের মর্মান্তিক চিত্রটি ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশে শ্রীকাকুলাম এলাকার। এই ঘটনার একটি ভিডিও দেশটির সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওটি দেখিয়ে দিচ্ছে, করোনাভাইরাস সংক্রমণে সামাজিক সচেতনতার অভাবে কিভাবে জরুরি পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে দেশটির গ্রামাঞ্চলের মানুষ।
দেশটির আনন্দবাজার পত্রিকার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ৫০ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি কাজ করতেন অন্ধ্র প্রদেশের বিজয়ওয়াড়ায়। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর শ্রীকাকুলামে নিজের গ্রামে ফেরেন তিনি। কিন্তু ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হওয়ায় তাকে গ্রামে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। তাই গ্রামের বাইরে মাঠের মধ্যেই পড়ে ছিলেন তিনি। সেখানেই বাবাকে পানি খাওয়াতে যান ১৭ বছরের মেয়ে। তখনই তাকে পেছন থেকে টেনে ধরেন মা। মায়ের ভয়, মেয়ে বাবার কাছে গেলে তারাও ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে পড়বেন।
ভিডিওটিতে দেখা যায়, মায়ের বাধা সত্ত্বেও বাবাকে শেষ পর্যন্তহ পাানি খাওয়াতে সক্ষম হন মেয়ে। কিন্তু জানা যায়, পানি খাওয়ার কিছুক্ষণ পরই ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়।