জেরুজালেমে টানা তৃতীয় দিনেও ইসরায়েলি পুলিশের সঙ্গে ফিলিস্তিনিদের সংঘর্ষ হয়েছে। আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে আজ সোমবার ভোরে আবারও ইসরায়েলি বাহিনী ঢুকে পড়েছে। সেখানে তারা ফিলিস্তিনি মুসল্লিদের ওপর রাবার বুলেট, কাঁদানে গ্যাসের শেল ও বোমা ছুড়েছে। এতে শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন বলে আল-জাজিরার খবরে বলা হয়।
জেরুজালেমের শেখ জারাহ এলাকাতে সোমবার ফিলিস্তিনিরা ইসরায়েলি পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছুড়ে, এর জবাবে পুলিশ কর্মকর্তারাও স্টান গ্রেনেড এবং জলকামান ব্যবহার করেছে। তবে পুরনো শহরের দামেস্ক গেটের কাছে আগুন জ্বালিয়ে দেয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। ফিলিস্তিনের চিকিৎসকরা বলছেন, বেশ কিছু বিক্ষোভকারী আহত হয়েছেন। এছাড়া ইসরায়েলের শহর হাইফা এবং রামাল্লাতে ফিলিস্তিনি এবং ইসরায়েলিদের মধ্যে সংঘর্ষের খবর পাওয়া যাচ্ছে।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু জেরুজালেমের পুলিশের কার্যকলাপকে সর্মথন করে বলেছেন তার সরকার শান্তিপূর্ন অবস্থাকে নষ্ট করার জন্য কোন প্রকার কট্টরপন্থী উপাদানকে পাত্তা দেবে না।
পূর্ব জেরুজালেমে জেরুজালেমের নিরাপত্তা বাহিনীর পদক্ষেপের নিন্দা করেছেন প্রতিবেশি জর্ডান। মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি আলোচনায় যেসব দেশ ভূমিকা রাখে, সেই যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, রাশিয়া এবং জাতিসংঘ এই সহিংসতার ব্যাপারে ‘গভীর উদ্বেগ’ জানিয়েছে।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ আজ আরও পরের দিকে এই ইস্যু নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে।
শুক্রবার থেকে সেখানে কয়েক দফায় ইসরায়েলি পুলিশের সঙ্গে ফিলিস্তিনিদের সংঘর্ষ হয়েছে। শনিবারের সহিংসতার শুরু হয় জেরুজালেমের দামেস্ক গেটে যখন ইসলাম ধর্মের পবিত্র রাত লাইলাতুল আল-কদর উপলক্ষে হাজার হাজার মুসলমান আল-আকসা মসজিদে নামাজ আদায় করেন। এর আগে শনিবার মসজিদ অভিমুখে নামাজীদের নিয়ে যাওয়া অনেক বাস আটকে দেয় ইসরায়েলি পুলিশ। শুক্রবারের সহিংসতার কারণে বেশ কয়েকজন ফিলিস্তিনিকে গ্রেপ্তারও করা হয়।