নারী পুলিশ সদস্যের গোপন ভিডিও ছড়িয়ে দেয়া সেই যুবক হৃদয় খাঁনকে (২৫) এক দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। এর আগে শুক্রবার (৪ জুন) সকালে তাকে ফতুল্লায় অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়। আগের দিন বৃহস্পতিবার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম হোয়াটসঅ্যাপে গ্রুপ খুলে ওই নারী পুলিশের গোপন ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়।
পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম সাংবাদিকদের জানান, হৃদয় খানকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ওই নারী পুলিশ সদস্য নারায়ণগঞ্জের চাঁনমারী এলাকার বাসিন্দা। তিনি কক্সবাজার জেলা পুলিশ লাইনসে কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত। হৃদয় খান ওই নারীর আত্মীয় এবং তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সেই সুবাদে হোয়াটসঅ্যাপে হৃদয়ের সঙ্গে নিয়মিত ভিডিও কলে যোগাযোগ হতো তার। হৃদয় খান তাকে বিয়ের কথা বলতেন। তাদের মধ্যে কথোপকথনের পাশাপাশি বিভিন্ন ‘গোপন ভিডিও’ আদান-প্রদান হয়, যা হৃদয় নিজের মোবাইল ফোনে সংরক্ষণ করে রাখেন। সম্পর্কে টানাপোড়েন শুরু হলে হৃদয় তার জি-মেইলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেন।
এরপর সেখান থেকে মোবাইল ফোনের সব নম্বর ও ফেসবুকের তথ্য সংগ্রহ করেন। পরবর্তী সময়ে হৃদয় কৌশলে বিভিন্ন পুলিশ সদস্যের মোবাইল নম্বর দিয়ে হোয়াটসঅ্যাপে গ্রুপ খুলে ‘গোপন ভিডিও’ ছড়িয়ে দেন।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক ফখরুদ্দীন ভূঁইয়া জানান, মামলার পরপরই পুলিশ অভিযান শুরু করে। শুক্রবার সকালে ফতুল্লার সাইনবোর্ড এলাকা থেকে হৃদয় খানকে গ্রেফতার করা হয়। পরে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে তাকে আদালতে পাঠানো হয়। আদালত এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।