মহাপরিচালক (ডিজি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেছেন, টিকটকসহ কয়েকটি ডিজিটাল অ্যাপস ব্যবহারের মাধ্যমে অপরাধ প্রবণতার বৃদ্ধির কারণে ক্ষতিকারক অ্যাপসগুলো বন্ধ করার বিষয়ে একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি পর্যালোচনা করছে।
শনিবার (৫ জুন) রাজধানী বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে (এফডিসি) ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি আয়োজিত ‘কিশোর অপরাধ বৃদ্ধিতে সোশ্যাল মিডিয়ার অপব্যবহার’ নিয়ে ছায়া সংসদ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে র্যাব ডিজি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, অপরাধ দমনে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর সক্ষমতা রয়েছে। কোনো ধরনের রাজনৈতিক চাপ নেই।
আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, কিশোর অপরাধ নিয়ন্ত্রণে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি অভিভাবক ও শিক্ষকসহ সমাজের বিভিন্ন পেশার মানুষকে সমন্বিত ভাবে কাজ করতে হবে। বিশেষত পরিবারে সন্তানদের প্রতি বাবা মায়ের নজরদারি বাড়াতে হবে। সোশ্যাল মিডিয়ার অপব্যবহার প্রতিরোধে সংশ্লিষ্ট সকলকে সতর্ক থাকতে হবে। সৃজনশীল কাজে সম্পৃক্তকরণের মাধ্যমে কিশোর অপরাধ হ্রাস করা সম্ভব।
র্যাবের মহাপরিচালক বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমরা অনেক দূর এগিয়ে গিয়েছি। অনেক দেশের চাইতে আমরা পার ক্যাপিটাল ইনকামে এগিয়ে রয়েছি। নারী উন্নয়নে আমরা এগিয়ে রয়েছি। ইন্টারনেটে সাইবার ক্রাইম নিয়ন্ত্রণে দেশে আইন রয়েছে। সেই আইনে অপরাধীদের গ্রেপ্তারের পর বিচার হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, ৩-৪ যুবক ও একটি মেয়ে মিলে এক তরুণীকে বিবস্ত্র করে শারীরিক ও যৌন নির্যাতন করছে। এই ভিডিও সূত্র ধরে অনুসন্ধান করে রিফাজুল ইসলাম হৃদয় নামের এক নির্যাতনকারীকে শনাক্ত করে পুলিশের তেজগাঁও বিভাগ।
টিকটক হৃদয় বাবু নামে পরিচিত বাংলাদেশি ওই যুবক বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল ও ভারতের কয়েকটি রাজ্যের কিছু অপরাধীর সঙ্গে মিলে মানব পাচারের আন্তর্জাতিক চক্র গড়ে তুলেছেন। এই চক্রটির নেটওয়ার্ক বাংলাদেশ, ভারত ও মধ্যপ্রাচ্যের দুবাইসহ কয়েকটি দেশে বিস্তৃত।
এদিকে ভারতে গণধর্ষণের শিকার বাংলাদেশি তরুণীর দেশে ফিরে এসে মানবপাচার আইনে মামলা করেছেন। তিনি ভয়ঙ্কর সব তথ্যও দিয়েছেন পাচারকারী ও নিপীড়কদের সম্পর্কে। ধর্ষণের শিকার তরুণী জানান, টিকটকের মাধ্যমে চক্রটির সঙ্গে তার পরিচয় হয়েছিল। এই চক্রের মাধ্যমে প্রায় দেড় হাজার নারী পাচারের শিকার হয়েছেন। সম্প্রতি ভারতে গ্রেফতার মগবাজারের ‘টিকটক’ হৃদয় বাবু এই চক্রের সমন্বয়ক। এরপরই নড়েচড়ে বসে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।