নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে আদমজী ইপিজেডের কুনতুং এ্যাপারেলস লিঃ (ফ্যাশন সিটি) নামক একটি পোশাক কারখানার চাকরিচ্যুত শ্রমিকরা বকেয়া পাওনার দাবিতে সড়ক অবরোধ করে গাড়ি ভাঙচুর ও পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে। গত শনিবার (১২ জুন) সন্ধ্যায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক ফারুক হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞাত প্রায় ৫০০ জনকে আসামি করে মামলাটি (মামলা নং-১৪) দায়ের করেন।
রোববার দুপুরে মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সাইফুল ইসলাম।
পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার (১২ জুন) সকাল সাড়ে ৭টার সময় ভারতীয় কোম্পানি কুনতুং এ্যাপারেলস লিঃ (ফ্যাশন সিটি) নামক একটি পোশাক কারখানার চাকরিচ্যুত শ্রমিকরা বকেয়া পাওয়ানার দাবিতে আদমজী ইপিজেডের প্রধান ফটকের সামনে সড়কে অবস্থান নেয়। এ সময় শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন শুরু করলে রাস্তায় যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। একপর্যায়ে ইপিজেডের আনসার সদস্যরা সড়ক অবরোধে বাধা দিলে আন্দোলরত শ্রমিকরা আনসার সদস্যদের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় ক্ষুব্ধ শ্রমিকরা রাস্তায় আটকে থাকা গাড়ি ভাঙচুর ও সড়কে আগুন জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে। পুলিশ গাড়ি ভাঙচুরে বাধা দিতে গেলে একপর্যায়ে পুলিশ ও আনসারদের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে শ্রমিকরা। এ সময় শ্রমিকরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশও পাল্টা টিয়ারসেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। পরে শ্রমিকরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। দফায় দফায় সংঘর্ষে পুলিশ ও সাংবাদকিসহ প্রায় ১৫ জন আহত হয়। এঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে অজ্ঞাত ৪০০/৫০০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন।
এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো: সাইফুল ইসলাম বলেন, রাস্তা অবরোধ করে গাড়ি ভাঙচুর ও পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় অজ্ঞাত ৪০০/৫০০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
উল্লেখ্য, গত শনিবার মালিকপক্ষের দেওয়া সময় অনুযায়ী সকাল সাড়ে ৭টায় ডেমরা-আদমজী-নারায়ণগঞ্জ সড়কে ইপিজেডের প্রধান গেটের সামনে অবস্থান নেয় প্রায় ২ শতাধিক পোশাক শ্রমিক। শ্রমিকদের অভিযোগ, এ সময় ইপিজেডে নিয়োজিত আনসার সদস্যরা নারী ও পুরুষ শ্রমিকদের ওপর লাঠিচার্জ করে। প্রায়ই শ্রমিকদের সাথে আনসার সদস্যরা অশালীন আচরণ ও নির্যাতন করে বলে অভিযোগ শ্রমিকদের। বেপজার কর্মকর্তারা কারখানা মালিকদের পক্ষে কাজ করে। তারা আরও বলেন বেপজা-পুলিশ কারও কাছেই তারা বিচার পান না।