নওগাঁ সদর জেনারেল হাসপাতালে স্থাপনের জন্য দুটি আইসিইউ গত ৩০ এপ্রিল পাঠানো হয়। কিন্তু আজও ইউনিট দুটি চালু হয়নি। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরুর পর থেকেই দেশের সীমান্তবর্তী জেলা নওগাঁয় সংক্রমণ, রোগী শনাক্ত ও মৃত্যু বাড়ছে। এরই মধ্যে নওগাঁ সদর জেনারেল হাসপাতালে দুটি আইসিইউ’র সরঞ্জাম পাঠিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। কিন্তু দেড় মাসেও ইউনিট দুটি চালু করা যায়নি, বাক্সবন্দী অবস্থায় পড়ে আছে।
জেলার কোনো হাসপাতালে আইসিইউ না থাকায় তীব্র শ্বাসকষ্ট নিয়ে আসা রোগীদের পাঠাতে হয় রাজশাহী, কিংবা বগুড়া জেলায়।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের (আইসিইউ) জন্য দুটি শয্যাসহ কিছু সরঞ্জাম নওগাঁয় এসেছে। কিন্তু মনিটর ও ভেন্টিলেটর এখনো পৌঁছায়নি। সব সরঞ্জাম এলে আইসিইউ দুটি চালু করা যাবে।
২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নওগাঁ সদর জেনারেল হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গত ৩০ এপ্রিল এই হাসপাতালে স্থাপনের জন্য দুটি আইসিইউ পাঠানো হয়। কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের (সিএমএসডি) তত্ত্বাবধানে স্পেক্ট্রা ইন্টারন্যাশনাল নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ইউনিট দুটি স্থাপনের কথা। কিন্তু ইউনিট দুটি আজও স্থাপন করা হয়নি।
এ প্রসঙ্গে নওগাঁর সিভিল সার্জন ও নওগাঁ সদর জেনারেল হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক এ বি এম আবু হানিফ বলেন, নওগাঁ সদর জেনারেল হাসপাতালে চারটি আইসিইউ শয্যা স্থাপন করার কথা। ইতিমধ্যে দুটি আইসিইউ শয্যা ও কিছু সরঞ্জাম এসেছে।
তিনি আরও বলেন, যে দুটি আইসিইউ শয্যার জন্য সরঞ্জাম এসেছে, সে দুটি স্থাপন করা গেলেও হয়তো এই কদিনে দু-একজনের জীবন বাঁচাতে পারতাম। সোমবার কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের মহাপরিচালকের সঙ্গে আইসিইউ দুটি দ্রুত স্থাপনের বিষয়ে কথা হয়েছে। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন এক সপ্তাহের মধ্যে ইউনিট দুটি স্থাপনের ব্যবস্থা করবেন।
জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির ফোকাল পারসন ও ডেপুটি সিভিল সার্জন মঞ্জুর-এ মোর্শেদ বলেন, তীব্র শ্বাসকষ্টের রোগীদের আইসিইউতে রেখে চিকিৎসা দিতে নওগাঁ সদর হাসপাতাল থেকে প্রায় ৯০ কিলোমিটার দূরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ও ৪৫ কিলোমিটার দূরের বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
তিনি আরো বলেন, দুটি আইসিইউ স্থাপন করা গেলে এই এলাকার রুগীদের অনেক উপকার হবে।