নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলায় ধর্ষণের শিকার হয়েছে দশম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রী (১৬)। এ ঘটনায় অভিযুক্ত যুবক শরিফুল ইসলাম নূরসহ (২৬) দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হওয়ায় ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রীকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
রোববার রাতে সোনাইমুড়ী বাজারের একটি আবাসিক হোটেলে এ ঘটনা ঘটে। গ্রেপ্তারকৃত শরিফুল ইসলাম নূর চাটখিল উপজেলার নোয়াপাড় গ্রামের বাসিন্দা। অপর ব্যক্তি হোটেলের ম্যানেজার।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে শরিফুল ইসলাম নূর ও ওই স্কুলছাত্রী সোনাইমুড়ী বাজারের একটি আবাসিক হোটেলে ওঠে। রাত সাড়ে ৯টার দিকে ভুক্তভোগীকে রক্তাক্ত অবস্থায় সোনাইমুড়ীর একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে বিষয়টি থানায় অবগত করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ভিকটিমকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসাপাতালে প্রেরণ করে। তার শরীর থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ হওয়ায় রাতে সোনাইমুড়ী থানার ওসি ও একজন এসআই তাকে দুই ব্যাগ রক্ত দেন। বর্তমানে সে জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) সৈয়দ মো. আব্দুল আজিম জানান, ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রীর শরীর থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। রাত থেকে তাকে তিন ব্যাগ রক্ত দেওয়া হয়েছে। তার শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে এখন ভালো আছে।
সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. গিয়াস উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সোমবার ভোরে সোনাইমুড়ী নদনা এলাকায় অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত শরিফুল ইসলাম নূরকে আটক করা হয়েছে। রাতেই ওই হোটেল থেকে ম্যানেজারকে আটক করা হয়। ঘটনায় স্কুলছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন।