মহামারি করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সরকারঘোষিত বিধিনিষেধের মধ্যে ‘জরুরি প্রয়োজন ছাড়া’ রাস্তায় বের হওয়ায় রাজধানীর কয়েকটি এলাকা থেকে ২৮১ জনকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) তেজগাঁও, শাহবাগ, রমনা, মোহাম্মদপুর ও মিরপুর এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিরপুর বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মাহাতাব উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, লকডাউন না মানায় এখন পর্যন্ত মিরপুর অঞ্চলেই শতাধিক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। মামলা হয়েছে অর্ধশত। এছাড়া লকডাউন ভঙ্গ করায় ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগে এখন পর্যন্ত ১৬৭ জন আটক হয়েছে।
করোনা সংক্রমণ মোকাবিলায় বৃহস্পতিবার থেকে ৭ দিনের কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে সরকার। যেখানে সর্বোচ্চ কঠোর অবস্থায় রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে পুলিশের পাশাপাশি চেকপোস্ট বসিয়ে তৎপর রয়েছে সেনাবাহিনী, বিজিবি ও র্যাব। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ বের হলেই চেকপোস্টে জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়তে হচ্ছে। হচ্ছে জেল-জরিমানাও। মানুষ সচেতন না হলে প্রয়োজনে আরও কঠোর হওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই রাজধানীর মোড়ে মোড়ে জনসমাগম ঠেকাতে ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে চেকপোস্ট বসিয়ে দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের। পুলিশের পাশাপাশি তৎপর আছে সেনাবাহিনী, বিজিবি, র্যাব ও পুলিশ। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া যারাই বের হয়েছেন তাদের গুনতে হচ্ছে কমপক্ষে ২০০ টাকা করে জরিমানা।
এদিকে ঢাকার প্রবেশমুখগুলোতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। পুলিশ ও সেনাবাহিনী বলছে, বেশিরভাগ সাধারণ মানুষ নিজে থেকেই বিধিনিষেধ মেনে চলছেন। দোকানপাটও বন্ধ। অলিগলিতেও টহল জোরদার করা হচ্ছে। তবে কাঁচা ও নিত্যপ্রয়োজনীয় বাজারে স্বাস্থ্যবিধির ঢিলেঢালা অবস্থা দেখা যাচ্ছে।
করোনা সংক্রমণ রোধে বিধিনিষেধকালীন মানুষকে ঘরে রাখতে বাধ্য করতে নতুন করে আরও ১০৬ জন কর্মকর্তাকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দিয়েছে সরকার। তারা বলছেন, গ্রেফতার, জরিমানা কিংবা জেল দেয়া তাদের মূল উদ্দেশ্য নয়। করোনার বিস্তার ঠেকাতে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতেই তারা কাজ করছেন।