মালয়েশিয়ায় অবৈধ শ্রমিকদের বৈধতার সুযোগ বৃদ্ধি করা হয়েছে। গত বছরের নভেম্বরে শুরু হওয়া শ্রম পুনরুদ্ধার রিক্যালিব্রেশন কর্মসূচির মেয়াদ ছিল গেলো মাসের ৩০ তারিখ পর্যন্ত। এই সময় বাড়িয়ে চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সরাসরি মেয়াদ বৃদ্ধির ঘোষণা না দিলেও ইমিগ্রেশনের ওয়েভের তথ্য মতে, ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এর মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে।
গত বছরের নভেম্বরে জারি করা অবৈধভাবে বসবাসকারী বিদেশি কর্মীদের রিক্যালিব্রেশন নামে থ্রি-ডি সেক্টরে বৈধতা দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু করে মালয়েশিয়া। পরবর্তীতে চলতি বছরের ২২ এপ্রিল দেশটির স্বরাস্ট্রমন্ত্রী দাতুক সেরি হামজাহ জয়নুদিন ও মানবসম্পদ মন্ত্রী দাতুক সেরি এম সারাভানান যৌথ এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জানান, থ্রি-ডি সেক্টরের পাশাপাশি সার্ভিস সেক্টরেও এ কর্মসূচির আওতায় বিদেশি কর্মীরা বৈধ হতে পারবে।
এ দিকে গত ১ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া এই কার্যক্রম চলতি বছরের জুন পর্যন্ত ছিল। ১ জুলাই ইমিগ্রেশনের ওয়েভের তথ্য মতে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এর মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে। মেয়াদ বৃদ্ধির বিষয়টি মালয়েশিয়াস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনের সংশ্লিষ্টরা নিশ্চিত করেছেন বলেও একটি সূত্রে জানা গেছে।
রিক্যালিব্রেশনের আওতায় পুনরুদ্ধার কর্মসূচি শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত ২ লাখেরও বেশি অভিবাসী নিবন্ধিত হয়েছেন। এর মধ্যে প্রায় ১ লাখ ১০ হাজার অভিবাসী বৈধতা পেতে আবেদন করেছেন। বাকি প্রায় ১ লাখ অবৈধ অভিবাসী নিজ দেশে ফিরে গেছেন বলে গত ১১ জুন স্থানীয় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানানো হয়।
কর্মসূচি শুরুর আগে বৈধভাবে অবস্থান করার জন্য ‘সোর্স কান্ট্রি’ হিসেবে পরিচিত ১৫টি দেশের নাগরিকদের অনুরোধ করেছে সংশ্লিষ্ট দূতাবাস। এটি মালয়েশিয়ায় বিদেশি কর্মী এবং নিয়োগকর্তাদের শৃঙ্খলিত করতে সরকারের একটি প্রচেষ্টা। শ্রমিকদের বৈধকরণের বিষয়ে ১৫টি দেশের রাষ্ট্রদূতদের সামনে বছরের শুরুতে এক বৈঠকে প্রক্রিয়ার বিস্তারিত তুলে ধরেছিলেন দেশটির ইমিগ্রেশনের মহাপরিচালক দাতুক সেরি খায়রুল দাজাইমি দাউদ।
এর আওতায় বৈধ হতে নির্দিষ্ট শর্ত আরোপ করে কিছু যোগ্যতা চেয়েছিল দেশটির সংশ্লিষ্ট বিভাগ। যেমন- যারা বৈধভাবে মালয়েশিয়ায় এসে ভিসায় উল্লেখিত নিয়োগকর্তার অধীনে কাজ করছেন কিন্তু ভিসা রিনিউ করেননি বা ওভার স্টে হয়েছে, যারা নিজ কোম্পানিতে কাজ করেননি এবং যারা নিয়োগ পাওয়া প্রতিষ্ঠান থেকে পালিয়ে গেছেন তারা এই প্রক্রিয়ায় বৈধ হতে পারবেন। তবে ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে যারা এমন অনিয়ম করেছেন তারাই এই সুযোগ পাবেন। এর পরবর্তী সময়ে কেউ এসব অপরাধ করলে তারা এই প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্তির সুযোগ পাবেন না।