‘যৌক্তিক কারণ’ ছাড়া ঘরের বাইরে বের হওয়ায় চলমান কঠোর বিধিনিষেধের তৃতীয় দিনে রাজধানীতে ৬২১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এছাড়া মিথ্যা তথ্য দেওয়া ও মাস্ক ব্যবহার না করায় ৩৪৬ জনকে জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ডিএমপির গণমাধ্যম শাখা জানিয়েছে, কঠোর বিধিনিষেধ অমান্য করে কোনো কারণ ছাড়াই বের হওয়ায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) ৮৮৫টি গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা করেছে। কঠোর লকডাউনের তৃতীয় দিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ডিএমপির আটটি বিভাগ এসব আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এ সময় মোট ১৯ লাখ ২২ হাজার ৫৫০ টাকা জরিমানা করা হয়।
তেজগাঁও বিভাগের মোহাম্মদপুর জোনের অতিরিক্ত উপকমিশনার মৃত্যুঞ্জয় দে সজল বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কমাতে চলাচলে কঠোর বিধিনিষেধের তৃতীয় দিনে মাঠে অবস্থান করেছি আমরা। যারাই অকারণে বাসা থেকে বের হয়েছেন, তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। প্রথমে আটক এবং পরে এর মধ্যে থেকে যাচাই বাছাই করে গ্রেপ্তার দেখানো হচ্ছে।
র্যাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে তৃতীয় দিনে সারা দেশে ২৭৭ জনকে জরিমানা করা হয়েছে। যার পরিমাণ ১ লাখ ৯৮ হাজার ১৭৫ টাকা। পুরো দেশে তাদের ১৭২টি টহল এবং ১৮১টি চেকপোস্ট ছিল।
এর আগে দ্বিতীয় দিনে রাজধানীতে ৩২০ জন গ্রেপ্তার হয়েছিল। এছাড়া মিথ্যা তথ্য দেওয়া ও মাস্ক ব্যবহার না করায় ২০৮ জনকে জরিমানা করা হয়। কঠোর বিধিনিষেধের দ্বিতীয় দিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ডিএমপির আটটি বিভাগ এসব আইনি ব্যবস্থা নেয়। এ সময় মোট ২১৯টি মামলা দেওয়া হয়েছে।
কঠোর বিধিনিষেধের প্রথম দিন বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) অকারণে বের হয়ে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন ৫৫০ জন। জরিমানা করা হয় ৪ লাখ ৯২ হাজার ৫০৭ টাকা।
সরকারি প্রজ্ঞাপন অনুসারে, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ১ থেকে ৭ জুলাই সারা দেশে চলাচলে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে সরাকার। এ সময় সব সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকবে। সড়ক, রেল ও নৌপথে গণপরিবহনসহ সব ধরনের যন্ত্রচালিত যানবাহন চলাচলও বন্ধ।