করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে কঠোর লকডাউনে দিন গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে কিছুটা শিথিলতা দেখা যাচ্ছে। বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যরাও মাঠে আছেন। তারপরও রাজধানীর অনেক এলাকায় মানুষের চলাচল বেড়েছে। জীবিকার প্রয়োজনে বের হওয়ার কথা বলছেন তারা। লকডাউনের অষ্টম দিন বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর মিরপুর, মোহাম্মদপুর, ফার্মগেট, রামপুরা, মালিবাগ, গুলশান ও বাড্ডা এলাকা ঘুরে দেখে গেছে, গণপরিবহন না চললেও আগের দিনগুলোর তুলনায় সড়কে মানুষ, রিকশা ও যানবহন অনেক বেড়েছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের সংখ্যাও বাড়ছে রাস্তায়। সকালে ফার্মগেট এলাকায় দেখা যায়, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ভাড়া করা বাসে মানুষ অফিসে যাচ্ছে। বড় বাসের পাশাপাশি প্রচুর ব্যক্তিগত গাড়ি চলাচল করতে দেখা গেছে। ভাড়ায়চালিত মোটরসাইকেলও যাত্রী নিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে। মোহাম্মদপুরে কথা হয় বেসরকারি চাকরিজীবী আহসানের সঙ্গে। তিনি বলেন, অফিস খোলা, বের না হয়ে উপায় নেই। অফিসে না গেলে চাকরি থাকবে না। অফিস থেকে গাড়িও দেয় নি। তাই কিছুটা পথ পায়ে হেঁটে, কিছুটা পথ রিকশায় অফিস যাচ্ছি। সিএনজি অটোরিকশা চালক মেহেদি বলেন, পেটের দায়ে বের হতে হয়। পুলিশ মামলা দিলেও করার কিছু নেই। ক্ষ্যাপ না মারলে বাসায় সবাইকে না খেয়ে থাকতে হবে। রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে পুলিশের তল্লাশি থাকলেও রাস্তায় যানবাহনের সংখ্যা বাড়ছে। রাস্তায় বাইসাইকেল, মোটরসাইকেল, ব্যক্তিগত গাড়ি, মাইক্রোবাস ও বিভিন্ন অফিসের বাসও দেখা যাচ্ছে। পুলিশ সদস্যরা জানান, মানুষ বাইরে বের হওয়ার যেসব কারণ দেখাচ্ছেন তাতে বেশিরভাগকেই আটকানো যাচ্ছে না। তবে কারও উত্তর সন্তোষজনক না হলে আবার জিজ্ঞাসা করা হচ্ছে।