রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানা এলাকায় সুবল চন্দ্র পাল (৪৪) নামে এক সিকিউরিটি গার্ডের হাত-পা বাঁধা মরদেহ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ।
রোববার (১১ জুলাই) সকাল সোয়া ৮টায় মরদেহ উদ্ধার করেন উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ। লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য বিকেল সাড়ে তিনটায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
১১ জুলাই রবিবার রাজধানীর উত্তরা ৩ নং সেক্টর ১০ নম্বর রোডের ১০ নম্বর বাড়িতে এ হত্যা কান্ডের ঘটনাটি ঘটে।
কেবা কাহারা রাতের আধাঁরে হত্যা করে হাত পা বাঁধে ফেলে রেখে গেছে সুবল চন্দ্র পাল (৪৪) কে।
জানা যায় ভোর রাতে বাড়ির মালিক নামাজ পরতে বেড় হলে বাড়ির মুল ফটক খোলা দেখে বাড়ির দারোয়ানকে খোজাখুজি করেন পরে বাড়ির মালিক দেখেন দারোয়ান তার নিজ কক্ষে হাত পা বাঁধা অবস্থায় অচেতন অবস্থায় পরে আছেন। পরে থানা পুলিশকে খবর দিলে সকাল ৭ টার দিকে ঘটনা স্থলে পৌছে হাত পা বাঁধা অবস্থায় লাশ দেখতে পায়। পুলিশ ঘটনাটি ভালো ভাবে ক্ষতিয়ে দেখতে সিআইডির ক্রাইম ইউনিডকে খবর দিলে সিআইডির ক্রাইম ইউনিট গঠনা স্থল থেকে আলামত হত্যাকান্ডের আলামত উদ্ধার করেন।
জানা যায়, সুবল পাল এই বাড়ীতে দীর্ঘ ২ বছর যাবৎ নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করে আসছে। তার গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলার লাঠুলিয়া গ্রামে। তার পরিবারে স্ত্রী সহ এক ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে।
এঘটনায় উক্ত বাড়ির মালিক ঢাকা টোয়েন্টিফোর কে বলেন, উক্ত বাড়ির মালিক ঢাকা টোয়েন্টিফোর কে জানায়, আমার সাথে সর্বশেষ সুবল পালের রাত ১১টায় দেখা হয়, সুবল পাল আমাকে ঘুমের ওষুধ এনে দেয়, আমি ওষুধ নিয়ে ঘরে চলে যাই। পরে ফজরে নামাজের জন্য আমি বের হয়, বের হয়ে দেখি বাড়ির প্রধান দরজা খোলা,, আমি তেমন কিছু না ভেবে নামাজে চলে যায়, নামাজ থেকে ফিরে এসে দেখি তখনও বাড়ির দরজা খোলা, বাড়ির গেটের লাইট জালানো। পরে দারোয়ানের ঘরে ঢুকে দেখি হাত পা বাঁধা, এবং উপর করা অবস্থায় সুবলের লাশ পড়ে আছে। তৎক্ষণাৎ আমি ৯৯৯ এ কল দিয়ে পুলিশ কে খবর দেই, পড়ে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে উত্তরা পশ্চিম থানার অফিসার্স ইনচার্জ মো:আক্তারুজ্জামান ইলিয়াস ঢাকা টোয়েন্টিফোর কে বলেন,এ বিষয়ে উত্তরা পশ্চিম থানার অফিসার্স ইনচার্জ মো: আক্তারুজ্জামান ইলিয়াস ঢাকা টোয়েন্টিফোর কে জানায়, আমরা আনুমানিক সকাল ৬ টায় ফোন পাই, ফোন পাওয়ার সাথে সাথেই আমরা ঘটনাস্থলে যেয়ে লাশ উদ্ধার করি এবং লাশ পোস্ট মডেমের জন্য ঢাকা মেডিকেল হসপিটালে পাঠাই। এবং এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড, এটি কোনো আত্মহত্যা না। পোস্ট মডেম শেষ হলে আমরা শীগ্রই এটা তদন্ত শুরু করবো।