প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফলেই করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলা করা সম্ভব হয়েছে। সরকার শুরু থেকেই গ্রামীণ মানুষের জীবন মান উন্নয়নের পদক্ষেপ নেয়ায় এই সংকটেও গতিশীল আছে দেশের অর্থনীতি।
বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, মানুষের কল্যাণে সেবামূলক প্রশাসন গড়ে তোলা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করাই তাঁর সরকারের লক্ষ্য। এসময় জনগণকে স্বাস্থ্য সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনার যত টিকা দরকার সরকার তা কিনে আনবে।
বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তি ও শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদান উপলক্ষ্যে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন। গণভবন থেকে ভিডিও কানফারেন্সে এই অনুষ্ঠানে যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এসময় শেখ হাসিনা বলেন, প্রধানমন্ত্রীত্ব তার কাছে দেশের মানুষের সেবা করার একটা সুযোগ মাত্র। তাঁর সরকার ধারাবাহিক ভাবে রাষ্ট্র পরিচালনা করতে পারছে বলেই আজ দেশ এগিয়ে যাচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, গ্রামীণ জনপদের মানুষের জীবনমান উন্নয়নই তাঁর সরকারের লক্ষ্য। তাই করোনায়ও যেন প্রান্তিক মানুষের জীবন থেমে না যায় তার জন্য সরকারের সব প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে।
দেশে সেবামূলক প্রশাসন প্রতিষ্ঠা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করাই সরকারের দায়িত্ব উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সুশাসন প্রতিষ্ঠা করে দেশের খেটে খাওয়া মানুষের জন্য কাজ করাই বড় দায়িত্ব।
বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির সফলতার জন্য তথ্য ও যোগাযোগ বিভাগকে প্রথম পুরস্কারসহ ১০টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে পুরস্কৃত করা হয়। এছাড়া শুদ্ধাচার চর্চায় পুরস্কার পেয়েছেন অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব আব্দুর রউফ তালুকদার।