ঈদকে ঘিরে ফাঁকা ঢাকা রেখে গ্রামে যাওয়া নগরবাসীর উদ্দেশ্য সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেছেন, আপনার ফাঁকা বাসায় যদি আপনি প্রাথমিক নিরাপত্তা নিশ্চিত না করেন তবে ঢাকার শহরের লাখ লাখ ফাঁকা বাসায় পাহারা দেওয়া পুলিশের পক্ষে অসম্ভব।
মঙ্গলবার (২০ জুলাই) দুপুরে ঈদুল আযহা উপলক্ষে নিরাপত্তা বিষয়ে ডিএমপি’র মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই কথা বলেন তিনি।
ডিএমপি কমিশনার শফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা নগরবাসীকে বলবো, আপনার সম্পদের প্রাথমিক নিরাপত্তা আপনাকে নিশ্চিত করতে হবে। আপনার বাসার দরজা জানালা এবং ভেন্টিলেটরগুলো ঠিকমতো নিরাপত্তার মধ্যে রয়েছে কি না এবং তালা ঠিকমতো রয়েছে কি না সেটা নিশ্চিত করবেন। পাশাপাশি প্রতিবেশীকে বলে যাওয়া যে, আমি গ্রামে যাচ্ছি আমার বাসার দিকে খেয়াল রেখো। সম্ভব হলে আপনার মূল্যবান অর্থ ও স্বর্ণালংকার যথাসম্ভব ব্যাংকের লকারে রাখার চেষ্টা করবেন। অথবা যেসব আত্মীয়-স্বজন ঢাকাতে থেকে যাচ্ছেন তাদের কাছেও রেখে যেতে পারেন।
তিনি বলেন, যদি শুধু পুলিশের ভরসায় ফাঁকা বাসায় গুরুত্বপূর্ণ জিনিসপত্র রেখে যান তবে লাখ লাখ বাসা পাহারা দেওয়া পুলিশের পক্ষে প্রায় অসম্ভব একটি কাজ। যারা অপরাধ করে তাদেরকে আমরা গ্রেফতারের মাধ্যমে আইনের আওতায় আনতে ব্যবস্থা নেবো। তবুও আপনারা সতর্ক থাকবেন। প্রয়োজনে আপনার যে গার্ড থাকে তার নাম্বার নিয়ে যাবেন, যাতে প্রয়োজনে রাতের বেলা কল দিয়ে খোঁজ নিতে পারেন।
পশুর হাটে গরু চুরি হচ্ছে, এই বিষয়ে পুলিশ কি আদৌ কোন নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিতে পেরেছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে কমিশনার বলেন, এটা আমার নলেজে আসে নাই। তবে এটা আমি দেখবো। তবে একটা জিনিস স্বীকার করতে হবে, গরু যদি হাটে থেকে চুরি হয়ে যায়, তাহলে হাটে অনেক পুলিশ ছিলো, অনেক ব্যবসায়ী ছিলো, সেক্ষেত্রে হাটেই এটা প্রতিরোধ করা সম্ভব ছিলো। দ্বিতীয়ত, মনে করেন আপনার পাঁচটা গরু চুরি হয়েছে, সেটা পুলিশকে বললেন। পুলিশ গাবতলী হাটে গিয়ে এই পাঁচটা গরু কি খুঁজে বের করতে পারবে? নাকি আপনি পারবেন? কারো পক্ষে সম্ভব না, কারণ পুলিশ তো গরুগুলোকে চেনে না।
সংবাদ সম্মেলনে এসময় উপস্থিত ছিলেন- ডিএমপি’র অতিরিক্ত কমিশনার মীর রেজাউল আলম, কৃষ্ণপদ রায়, হাফিজ আক্তার, মুনিবুর রহমান, মফিজ উদ্দিন, সিটিটিসি প্রধান মো. আসাদুজ্জামান প্রমূখ।