দেশের প্রতিটি ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন পর্যায়ে করোনার ভ্যাকসিনেশনের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার (২৬ জুলাই) মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, রাজধানীর হাসপাতালগুলোতে বাইরের যত করোনা রোগী এসেছে তাদের ৭৫ ভাগ বয়স্ক রোগী। দেখা গেছে, রাজধানীর বাইরে বয়স্ক রোগী সংক্রমণের হার ৯০ শতাংশ। তারা সাধারণত করোনা টেস্ট করতে চান না। আবার অনেকে মনে করেন করোনা ধরা পড়লে তাকে সামাজিকভাবে তাদের এক ঘরে করে ফেলবে। এই ভয়ে তারা আক্রান্ত হলেও প্রকাশ করে না।
তিনি বলেন, গত দেড় বছর ধরে করোনার চিকিৎসা দিতে গিয়ে দেশের চিকিৎসক এবং নার্সরা ক্লান্ত। একারণে সারা দেশে দ্রুততম সময়ে চার হাজার ডাক্তার এবং নার্স নিয়োগ দেয়া হবে। একারণে তাদের পরীক্ষা এবং পুলিশ ভেরিফিকেশনও বন্ধ রাখা হয়েছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রী বলেন, ক্রমাগত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। এখনই সরকারি হাসপাতালগুলোর ৯০ শতাংশ বেড পূর্ণ হয়েছে। আরও সংক্রমিত হলে সবাইকে চিকিৎসা দেয়া সম্ভব হবে না। এখনই স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে, পড়তে হবে মাস্ক। পাশাপাশি লকডাউন মানতে বাধ্য করতে হবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে। এজন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, প্রতি মাসে প্রায় ১ কোটি মানুষকে টিকার আওতায় আনার জন্য কাজ করছে সরকার। এজন্য ২১ কোটি টিকা আনার কাজ চলছে। এর মধ্যে অ্যাসট্রাজেনেকা ৩ কোটি, সিনোফার্মার ৩ কোটি রাশিয়ার স্পুটনিক ১ কোটি, মডার্না/ফাইজার কোভ্যাক্সের আওতায় ৬ কোটি ৮০ লাখ। বাকি ৭ কোটি জনসন অ্যান্ড জনসন। যা আগামী বছরের মাঝামাঝি দেশে আসছে।