করোনা প্রতিরোধে চলছে সরকার ঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধ। ঈদ-পরবর্তী বিধিনিষেধের আজ চতুর্থ দিন। সোমবার (২৬ জুলাই) সকাল থেকেই জরুরি প্রয়োজনে বের হওয়া মানুষের পাশাপাশি অযথা বের হতে দেখা গেছে অনেককেই।
বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে আজও ছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চেকপোস্ট। যৌক্তিক কারণ ও তথ্য-প্রমাণ ছাড়া রাস্তায় নামলেই গুনতে হচ্ছে জরিমানা। অনেকের নাম উঠছে মামলার খাতায়।
সরেজমিনে গাবতলী গিয়ে দেখা যায়, গাবতলী ব্রিজ পেরোলেই পাওয়া যাচ্ছে মোটরসাইকেল, প্রাইভেটকারসহ অন্যান্য যানবাহন। এমনকি সেখানে মিলছে পাটুরিয়া ঘাটের গাড়িও।
যারা ঢাকা থেকে গ্রামের দিকে ছুটছেন যৌক্তিক কারণ না থাকলে তাদেরও আটকানো হচ্ছে। ঢাকার প্রবেশ ও বের হওয়ার পথে বেশ কড়াকড়ি হওয়ায় মানুষের বিচরণ ছিল একেবারেই কম। তবে এতকিছুর পরও নানা কারণ দেখিয়ে মোটরসাইকেল ও প্রাইভেটকারযোগে গ্রামের দিকে ছুটছেন অনেক মানুষ।
আমিনবাজারের রাইড শেয়ার করা মোটরসাইকেল চালকেরা বলেন, ‘আমাদের ভাড়া কমেছে, তারপরও সারাদিনে কিছু আয় হচ্ছে। এখান থেকে পাটুরিয়া ঘাটে গেলেই হাজার টাকার মতো আয়। কিন্তু ফেরার পথে যাত্রী পাওয়া যাচ্ছে না। অনেক সময় ঘাট থেকে খালিই আসতে হয়। এখনো অনেক মানুষ বাড়িতে চলে যাচ্ছে। কিন্তু ঢাকায় কম ঢুকছে।’
নড়াইলগামী যাত্রী হায়দার আলী বলেন, ‘স্ত্রীকে নিয়ে জরুরি কাজে বাড়ি যাচ্ছি। পরিবহন বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছি। খুব কষ্টে আগারগাঁও থেকে গাবতলী এসেছি। এরপর হেঁটে গাবতলী ব্রিজ পার হলাম। এখানে মোটরসাইকেল, প্রাইভেটকার ভাড়া বেশি চাইছে। পরে এক হাজার টাকায় মোটরসাইকেল ঠিক করেছি। দুইজন মোটরসাইকেলে করেই ঘাট পর্যন্ত যাব।’
মোটরসাইকেল চালক সঞ্জয় বলেন, ‘বাধ্য হয়ে গাড়ি নিয়ে রাস্তায় বের হয়েছি। এই রাইড শেয়ারিংয়েই আমার সংসার চলে। ভাড়া হয়, তবে আগের চেয়ে অনেক কম।’
গাবতলী ব্রিজে দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, এবারের বিধিনিষেধ বেশ কড়াকড়ি। আটকানো হচ্ছে আমিনবাজারের ওই পার থেকে আসা সব যানবাহনই। তবে চেকপোস্ট পর্যন্ত আসা কেউ যথাযথ জরুরি কাজের কারণ দেখাতে পারলে ছেড়ে দেয়া হচ্ছে।