রাজধানীর বনানী থানায় দায়ের করা মাদক মামলায় প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজ ও তার সহযোগী সবুজ মিয়ার ৪ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (৫ আগস্ট) রাতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সুষ্ঠু তদন্তের প্রয়োজনে আসামিদের ৭ দিন করে মোট ১৪ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। অপরদিকে, রাষ্ট্রপক্ষের প্রসিকিউটর আবদুল্লাহ আবু রিমান্ডের জোর দাবি জানান।
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মামুনুর রশিদ রিমান্ডের এ আদেশ দেন। রাষ্ট্রপক্ষের প্রসিকিউটর আবদুল্লাহ আবু এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বুধবার (৪ আগস্ট) রাতে রাজ ও তার সহযোগী সবুজ মিয়াকে বনানীর বাসা থেকে মাদক ও সিসা সেবনের সরঞ্জামসহ আটক করে র্যাব। এছাড়া পর্নোগ্রাফি সম্পর্কিত সরঞ্জামও উদ্ধার করা হয়।
বৃহস্পতিবার (৫ আগস্ট) বিকেলে র্যাব সদর দফতরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের লিগ্যাল ও মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক খন্দকার আল মঈন বলেন, গুলশানের একটি ফ্ল্যাট থেকে তরুণী মুনিয়ার মরদেহ উদ্ধারের পর প্রথম আলোচনায় আসেন রাজ। সেসময় রাজের সঙ্গে মুনিয়ার একাধিক অন্তরঙ্গ ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে র্যাব সদরদফতর থেকে কালো একটি মাইক্রোবাসে পরীমণি ও রাজকে বনানী থানায় নেয়া হয়। পরে তাদের বনানী থানায় হস্তান্তর করে র্যাব। এরপর বনানী থানায় র্যাব বাদী হয়ে মামলা পৃথক দু’টি মামলা করে।
এর আগে বিকেলে বনানী থানায় মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে রাজ ও তার সহযোগী মো. সবুজ আলীর বিরুদ্ধে মামলা করে র্যাব।
এদিকে, বনানী থানার পৃথক মাদক মামলায় নায়িকা পরীমনিকেও চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
সেসময় বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করে রাজকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানান, মুনিয়ার সঙ্গে রাজের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তিনিই মুনিয়াকে একটি নাটকে অভিনয়ের সুযোগ করে দেন। তবে নাটকটির শুটিং শেষ হয়নি।
এদিকে, চিত্রনায়িকা পরীমণির প্রথম সিনেমা ‘ভালোবাসা সীমাহীন’-এর প্রযোজক ছিলেন এই নজরুল ইসলাম রাজ। তার হাত ধরেই নাটক থেকে সিনেমায় নাম লেখান পরী।