ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার সময় নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার চরওয়াপদা ইউনিয়নে ভোট কেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে পরাজিত এক মেম্বার প্রার্থী ও তার সমর্থকরা। এ সময় ৪ পুলিশ ও ২ আনসার সদস্য আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ৭ রাউন্ড শর্টগানের গুলি ছুঁড়ে।
সোমবার রাত পৌনে ৮টার দিকে দারুল উলুম কাওমি মাদ্রাসা ও এতিমখানা কেন্দ্রে এ হামলার ঘটনা ঘটে। আহত পুলিশ সদস্যরা হচ্ছেন কুমিল্লা পুলিশলাইন্সে কর্মরত কনস্টেবল মো. তারেক, শাহাদাত হোসেন, উক্য মারমা, রায়হান রাজা, আনসার সদস্য ফারুক হোসেন ও আলা উদ্দিন।আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এ কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা দিকে ভোট গণনা শেষে ফলাফল ঘোষণা শুরু করেন কেন্দ্রে দায়িত্বরত প্রিজাইডিং অফিসার মাহবুবুল ইসলাম। মেম্বার প্রার্থীদের ফলাফল ঘোষণার পর কেন্দ্রের বাইরে উত্তেজনা দেখা দেয়। এর কিছুক্ষণ পর উত্তেজিত লোকজন কেন্দ্রের দিকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে।
কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মাকসুদুর রহমান বলেন, ফলাফল ঘোষণার পর ২নং ওয়ার্ডের টিউবওয়েল প্রতীকের প্রার্থী সোহরাব হোসেন তার ফলাফল ভুল হয়েছে বলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। এর কিছুক্ষণ পর তিনি তার লোকজন নিয়ে আমাদের লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। এতে আমাদের কয়েকজন পুলিশ ও আনসার সদস্যরা আহত হয়েছেন। এ সময় আমরা আত্মরক্ষার্থে ৭ রাউন্ড গুলি করি। পরে পার্শ্ববর্তী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, র্যাব, বিজিবি, পুলিশের মোবাইল টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং আমাদের পটোকল দিয়ে নিয়ে যান।
প্রিসাইডিং অফিসার মাহবুবুল ইসলাম বলেন, পরাজিত হওয়ার পর মেম্বার প্রার্থী সোহরাব কেন্দ্রে হামলা চালায়। এ সময় তারা কেন্দ্রে ভাঙচুরসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের আহত করে। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।