র্যাবের মহাপরিচালক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেছেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যাতে কোনো লজ্জাজনক পরিস্থিতি তৈরি না করে সেজন্য পিতা-মাতাসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে নজর রাখতে হবে।
তিনি বলেন, কিশোর গ্যাং দমনের জন্য র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ান (র্যাব) সব সময় সোচ্চার থেকে কাজ করে যাচ্ছে। এখন শুধু অভিভাবক ও সাধারণ মানুষকে সচেতন হতে হবে।
শনিবার দুপুরে (২ অক্টোবর) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে বিএফডিসিতে কিশোর গ্যাং বৃদ্ধির কারণ নিয়ে ছায়া সংসদ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।
বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজন করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’র চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ কিশোর গ্যাং প্রতিরোধে সাত দফা সুপারিশ তুলে ধরেন। তার কথায়, ‘কিশোর গ্যাং প্রতিরোধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা জরুরি।’
ছায়া সংসদ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ পাবলিক কলেজ এবং সেন্ট যোসেফ হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলের বিতার্কিকরা সমান নম্বর পাওয়ায় উভয় দলকে যৌথভাবে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।
এসময় র্যাব বিজি বলেন, পারিবারিক বন্ধনের অভাবে যাতে শিশু-কিশোররা বিপথে না যায় সেদিকে লক্ষ্য রাখা জরুরি। তার কথায়, ‘যেভাবেই হোক না কেন কিশোর গ্যাং কালচার নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। গ্যাং কালচার থেকে কিশোরদের মুক্ত করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের একটি বড় সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় সমস্যা ছিল জঙ্গিবাদ, জলদস্যু ও বনদস্যুদের ভয়ঙ্কর আধিপত্য। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর তৎপরতায় বর্তমানে তা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। একইভাবে গ্যাং কালচারের সঙ্গে যুক্ত কিশোরদের সুস্থ সমাজে ও সুস্থ জীবনে ফিরিয়ে আনতে হবে।’
আব্দুল আল মামুন বলেন, ‘প্রযুক্তি যাতে কিশোর ও তরুণদের বিপথে না নিয়ে যায় সেজন্য সোশ্যাল মিডিয়ার অপব্যবহার প্রতিরোধ করতে হবে। তবে প্রযুক্তিকে বাদ দিলে আমরা পিছিয়ে পড়বো। এর ভালো দিকটা গ্রহণ করে মন্দ দিক এড়িয়ে যেতে হবে।
তিনি বলেন, যারা সোশ্যাল মিডিয়ার অপব্যবহারের মাধ্যমে গ্যাং কালচারে জড়িয়ে পড়ছে তাদের নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সর্বদা সতর্ক রয়েছে। যেভাবেই হোক কিশোর গ্যাং কালচার নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। তরুণ প্রজন্মকে ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না।’