চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে নির্মিত টানেলের কাজ নির্দিষ্ট মেয়াদের আগেই শেষ হতে পারে।
আজ মঙ্গলবার শেরে বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এ কথা জানান।
মন্ত্রী বলেন, ‘টানেলের এক দিকের মুখ আগেই খোলা হয়েছে। অন্য দিকের মুখ আগামী শুক্রবার খুলে দেওয়া হবে। এরপর একটু ঘষামাঝা করে মেয়াদ শেষ হওয়ার অনেক আগেই টানেলটি চালু করা হবে।’
তিনি জানান, পরবর্তীতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে টানেল চালুর সুনির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা করা হবে।
পূর্ব নির্ধারিত সময় অনুযায়ী, টানেলটির কাজ শেষ হওয়ার কথা ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে।
কর্ণফুলী নদীর তলদেশে দিয়ে দেশে প্রথমবারের মতো কোনো টানেল নির্মাণ করা হচ্ছে। এতে ব্যয় হচ্ছে ১০ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা। টানেলের দৈর্ঘ্য ৯ দশমিক ৩৯ কিলোমিটার। দুটি টিউবের প্রতিটির দৈর্ঘ্য ২ দশমিক ৪৫ কিলোমিটার। ব্যস ১০ দশমিক ৮০ মিটার।
টানেলকে ঘিরে কর্ণফুলীর দক্ষিণ পাড় থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত অর্থনৈতিক অঞ্চল, গভীর সমুদ্রবন্দর ও বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের কাজ এগিয়ে যাচ্ছে।
টানেলে যান চলাচল শুরু হলে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা কক্সবাজার ও দক্ষিণ চট্টগ্রামগামী গাড়িগুলোকে আর নগরে ঢুকতে হবে না। চট্টগ্রামের সিটি আউটার রিং রোড হয়ে টানেলের মাধ্যমে দ্রুত সময়ের মধ্যে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবে।