শিক্ষার্থী পরিচয় দিয়ে নেন বাসা ভাড়া। এরপর শুরু করেন মাদকের পাইকারি ও খুচরা ব্যবসা। তবে সবথেকে চাঞ্চল্যকর বিষয়টি হচ্ছে সহজে মাদক সরবরাহ ও বিক্রির জন্য আশ্রয় নেন পুলিশ পরিচয়ের। রাজধানীর বসুন্ধরা এলাকার বাসা থেকে নাফিজ ও তার এক বান্ধবীকে আটক করে র্যাব।
বুধবার রাতভর অভিযানে উদ্ধার হয় মদ, আইসসহ বিপুল পরিমাণ মাদক। আলমারিতে থরে থরে সাজানো বিদেশি নানা ব্রান্ডের মদ। বাহারি রঙের চোখ ধাধানো সব বোতল। বাদ যায়নি আলমারির উপরের অংশ এমনকি খাটের নিচের ফাঁকা জায়গাটুকুও।
শুধুই কি মদ? ছোট এই কক্ষে মেলে আইস, গাঁজা, প্যাথেড্রিনও। পাশাপাশি উদ্ধার করা হয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর ব্যবহৃত ওয়াকিটকি, পুলিশের ক্যাপ, ব্যাচসহ দুটি খেলনা পিস্তলও।
বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে মাদকের এই ছোট্ট সাম্রাজ্য গড়ে তোলেন নাফিজ মোহাম্মদ আলম। অভিযানের সময় আটক করা হয় নাফিজের বান্ধবী রাত্রীকেও।
নিজেকে একটি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অনার্স তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী দাবি করা নাফিজ গুলশান, বনানীসহ রাজধানীর অভিজাত এলাকায় মাদক সরবরাহ করতো বলে দাবি র্যাবের। বসুন্ধরার বাসা ব্যবহার করতো মাদকের গুদামঘর হিসেবে।
ধুর্ত নাফিজ সহজে মাদক সরবরাহ ও বিক্রির উদ্দেশ্যে নিজেকে পুলিশ পরিচয় দিতো বলেও দাবি র্যাবের। নাফিজের সঙ্গে মাদক ব্যবসায় আরো কেউ জড়িত থাকলে তাদেরও আইনের আওতায় আনার কথা জানায় র্যাব।