জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে ভাড়া বাড়ানো হয়েছে গণপরিবহনের। তবে ভাড়া বাড়াতে পারবে না রাজধানী ঢাকায় চালিত ৯৫ শতাংশ গণপরিবহন। এমনটাই জানিয়েছেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার। তিনি জানান, সিদ্ধান্ত হয়েছে তেলে চালিত গাড়ির ভাড়া বাড়বে, যেসব গাড়ি সিএনজি চালিত তার ভাড়া বাড়বে না।
রোববার (৭ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর বনানীতে বিআরটিএ কার্যালয়ে গণপরিবহনে ভাড়া পুনর্নির্ধারণে পরিবহন মালিক সমিতির নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান তিনি।
তথ্য অনুযায়ী দেখা যায়, রাজধানীতে ১২ হাজার ৫২৬টি বাসের মধ্যে ১১ হাজার ৯০০টি বাসই চলে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসে।
এ ছাড়া ঢাকা থেকে দূরপাল্লার ১৬ হাজার বাসের মধ্যে ১১ হাজার ২০০ বাস গ্যাসে চলে। বাকি ৪ হাজার ৮০০ চলে ডিজেলে। অর্থাৎ দূরপাল্লার ৭০ শতাংশ বাস গ্যাসে চলাচল করে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী যদি সিএনজি-চালিত বাসের ভাড়া বাড়ানো না হয় তাহলে রাজধানীতে ৯৫ শতাংশ ও দূরপাল্লার ৭০ শতাংশ বাস ভাড়া বাড়ানো যাবে না।
এ দিকে নতুন সমন্বিত ভাড়া অনুযায়ী, দূরপাল্লার বর্তমান বাস ভাড়া প্রতি কিলোমিটারে ১ টাকা ৪২ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ১ টাকা ৮০ পয়সা করা হয়েছে। অর্থাৎ কিলোমিটারপ্রতি যাত্রীকে বাড়তি ৩৮ পয়সা গুনতে হবে। এছাড়া বড় বাসে সর্বনিম্ন ভাড়া ১০ টাকা, মিনিবাসে ৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এছাড়া মহানগরে বাসের বর্তমান ভাড়া কিলোমিটারে ১ টাকা ৭০ পয়সা, সেটা ২ টাকা ১৫ পয়সা করা হয়েছে। কিলোমিটারে ভাড়া বেড়েছে ৪৫ পয়সা। মহানগরে মিনিবাসের বর্তমান ভাড়া প্রতি কিলোমিটারে ১ টাকা ৬০ পয়সা। সেটি বাড়িয়ে ২ টাকা ৫ পয়সা করা হয়েছে। কিলোমিটারপ্রতি ৪৫ পয়সা ভাড়া বাড়ানো হয়েছে।
ডিজেল-কেরোসিনের দাম বাড়ানোর পরদিন থেকেই পরিবহন মালিক-শ্রমিকেরা অসন্তোষ প্রকাশ করে শুক্রবার (৫ নভেম্বর) সকাল ৬টা থেকে রাজধানীসহ সারা দেশে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট শুরু করে। এতে সারা দেশের মানুষকে ব্যাপক দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। ধর্মঘট অনির্দিষ্টকালের হওয়ায় দুর্ভোগ কবে শেষ হবে, এ নিয়েও অনিশ্চয়তায় পড়ে মানুষ।
তবে তেলের দাম বাড়ানোর পর শুরু থেকেই পরিবহন মালিক ও সংশ্লিষ্টরা বলছিলেন, ডিজেলের দাম না কমানো হলে গণপরিবহনসহ অন্যান্য পরিবহনে ভাড়া সমন্বয় করতে হবে।