পাকিস্তানভিত্তিক কট্টর ডানপন্থি ইসলামিক ও উগ্রবাদী রাজনৈতিক সংগঠন তেহরিক-ই-লাব্বাইক পাকিস্তানের (টিএলপি) ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে ইসলামাবাদ। রোববার (৭ নভেম্বর) পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় এ সংক্রান্ত প্রস্তাবটিতে অনুমোদন দেয়া হয়।
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও নিউজের প্রতিবেদনে জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সরকারের সঙ্গে টিএলপির একটি গোপন চুক্তির পর আসে এ ঘোষণা।
সূত্রের বরাতে বলা হয়, সংগঠনটি ভবিষ্যতে কোনো সহিংস বিক্ষোভের উদ্যোগ নেবে না- এমন মর্মে সরকারকে আশ্বস্ত করেছে। মন্ত্রিসভায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পাঠানো একটি সংক্ষিপ্ত বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা উল্লেখ ছিল। এরপরই নিষেধাজ্ঞার তালিকা থেকে টিএলপির নাম বাদ দেয় মন্ত্রিসভা।
চুক্তি অনুযায়ী চতুর্থ ধাপে ৪৮ টিএলপিকর্মীর নাম কালোতালিকা থেকে সরিয়ে নিয়েছে পাঞ্জাব রাজ্য সরকার। রাজ্যের বিভিন্ন কারাগারে আটক শতাধিক কর্মীকে মুক্তি দেয়া হবে বলেও জানিয়েছে লাহোর।
গত দুই নভেম্বর থেকে টিএলপির সঙ্গে হওয়া চুক্তিটি বাস্তবায়ন শুরু করে পাঞ্জাব সরকার। এ কয়েকদিনে আট শতাধিক টিএলপিকর্মী মুক্তি পেয়েছে বলেও গুঞ্জন ছড়িয়েছে।
দীর্ঘদিন নিষিদ্ধ থাকা টিএলপির সঙ্গে গত ৩১ আগস্ট রাজনৈতিক সমঝোতায় পৌঁছায় পাকিস্তান সরকার। কোনো আনুষ্ঠানিক অভিযোগ ছাড়া আটক থাকা টিএলপি কর্মীদের মুক্তির শর্ত রয়েছে চুক্তিতে।
চুক্তি অনুযায়ী দলটির শীর্ষ নেতা সাদ রিজভির ওপরেও সাধারণ ক্ষমার শর্ত প্রযোজ্য হবে। টিএলপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত খাদিম রিজভির ছেলে সাদ হোসেন রিজভি। চলতি বছরের এপ্রিল থেকে পাঞ্জাবের কারাগারে বন্দি তিনি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবিষয়ক অধ্যাদেশের অধীনে গ্রেপ্তার হন সাদ রিজভি।