নতুন বছরের শুরু থেকেই ঊর্ধ্বমুখী করোনাভাইরাসের সংক্রমণের গতি। সেই সঙ্গে বেড়েছে মৃতের সংখ্যাও। দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন সাতজন। এতে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ৯৭ জনে।
বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। আগের দিন (বুধবার) দেশে করোনায় তিনজনের মৃত্যু হয়, শনাক্ত হয়েছিলেন ৮৯২ জন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ১৪০ জন। এ নিয়ে দেশে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৮৯ হাজার ৯৪৭ জনে।
একই সময়ে নমুনা সংগ্রহ করা হয় ২৩ হাজার ৬২৯ জনের। পরীক্ষা করা হয় ২৩ হাজার ৪৩৫টি নমুনা। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৪ দশমিক ৮৬ শতাংশ। মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৬৯ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের ২ জন নারী, ৫ জন পুরুষ। তাদের মধ্যে চট্টগ্রামে ৪ এবং ঢাকা, রাজশাহী ও রংপুরে ১ জন করে মারা গেছেন।
২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম তিনজনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদফতর। সেই বছর সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছিল ৬৪ জনের।
ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ায় গেল বছর জুন থেকে রোগীর সংখ্যা হু-হু করে বাড়তে থাকে। ২৮ জুলাই এক দিনে সর্বোচ্চ ১৬ হাজার ২৩০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল।
গত বছরের গত ৭ জুলাই প্রথমবারের মতো দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ৫ ও ১০ আগস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যু হয়, যা মহামারির মধ্যে এক দিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু। এরপর বেশ কিছু দিন দুই শতাধিক মৃত্যু হয়।
এরপর গত বছরের ১৩ আগস্ট মৃত্যুর সংখ্যা ২০০-এর নিচে নামা শুরু করে। দীর্ঘদিন শতাধিক থাকার পর গত ২৮ আগস্ট মৃত্যু ১০০-এর নিচে নেমে আসে।
২০২০ সালের এপ্রিলের পর গত বছরের ১৯ নভেম্বর প্রথম করোনাভাইরাস মহামারিতে মৃত্যুহীন দিন পার করে বাংলাদেশ। সর্বশেষ দ্বিতীয়বারের মতো ৯ ডিসেম্বর মৃত্যুশূন্য দিন পার করেছে দেশ।