তৃতীয় লিঙ্গের লাভলী হত্যার ২৪ ঘন্টার মধ্যে রহস্য উদঘাটন করেছে যশোর পুলিশ। এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় ৪জনকে আটককরা হয়েছে। এসময় তাদের কাছ থেকে হত্যায় ব্যবহৃত চাকু, একটি পিস্তল ও ৮ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। সাথে থাকা সহকর্মী নাজমার ভাড়াটে খুনিরাই এ হত্যাকান্ড সংগঠিত করেছে। রোববার (৯ জানুয়ারী) রাতে যশোর গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)’র ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুপম কুমার সরকার ঢাকা টোয়েন্টিফোরকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, গতকাল শনিবার সকাল ৮টার দিকে লাভলী তার সহকর্মী নাজমা ও সেলিনাকে নিয়ে যশোর শহরতলীর ধর্মতলার বাসা থেকে বের হয়ে ঝিকরগাছা উপজেলার ছুটিপুরে দিকে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে যশোর সদরের হালসা ব্রিজের কাছে কিছু দুর্বৃত্তদের তাদের ইজিবাইকের গতিরোধ করে। এরপর নাজমা ও সেলিনাকে ইজিবাইক থেকে নামিয়ে দিয়ে লাভলীর মাথায় পিস্তল দিয়ে গুলি করার চেষ্টা করে। গুলি বের না হলে ছুরি দিয়ে গলায় ও মুখে আঘাত করে দুর্বৃত্তরা চলে যায়।
নাজমা ও সেলিনা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বেলা সাড়ে ১০টার দিকে তার মৃত্যু হয়। এরপর যশোর জেলার সম্মানিত পুলিশ সুপার জনাব প্রলয় কুমার জোয়ারদার, বিপিএম (বার), পিপিএম মহোদয়ের দিক নির্দেশনায় জেলা গোয়েন্দা ও কোতোয়ালী থানা পুলিশের একাধিক টিম শনিবার রাত থেকে অভিযান শুরু করে। সহকর্মী নাজমা ও সেলিনার স্বীকারোক্তি মতে যশোর সদর উপজেলার বিভিন্ন হাশিমপুর থেকে হত্যায় জড়িত শাকিল ও মেহেদীকে আটক করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে একটি বিদেশী পিস্তল, ৮ রাউন্ড গুলি, একটি বার্মিজ চাকু ও একটি কুড়াল উদ্ধার করা হয়।
ওসি রুপম কুমার সরকার আরও জানান, নাজমার সাথে আর্থিক লেনদেনের সূত্রধরে এ হত্যাকান্ড ঘটানো হয়েছে। আইনিপক্রিয়া শেষে আসামিদের আদালতে সোপর্দ করা হবে।