নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁওয়ের বস্তল গ্রামের দুই যুবককে অপহরণ করে নিয়ে আড়াইহাজার উপজেলার ইলমদি এলাকায় ডাকাত আখ্যা দিয়ে হত্যার প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ, মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে এলাকাবাসী।
শুক্রবার (১৪ জানুয়ারী) বেলা ১১টায় উপজেলার এশিয়ান হাইওয়ে সড়কের জামপুরের বস্তল এলাকায় সহস্রাধিক নারী পুরুষ রাস্তায় অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করে। এ সময় তারা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে। তারা অবিলম্বে এ হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার দাবি করে। বিক্ষোভ ও মানববন্ধনে অংশ নেন নিহতদের পরিবার, আত্মীয়স্বজন ও এলাকাবাসী।
এদিকে সড়ক অবরোধে এশিয়ান হাইওয়ের দুপাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। প্রায় দেড় ঘণ্টাব্যাপী চলে এ অবরোধ। পরে পুলিশ এসে তদন্ত করে হত্যার সুষ্ঠু বিচারের আশ্বাস দিলে বিক্ষোভকারীরা দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তাদের অবরোধ তুলে নেয়। পরে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। তবে অবরোধ চলাকালে কোন প্রকার ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেনি।
জানা যায়, উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের বস্তল এলাকার সিরাজুল ইসলামের ছেলে মফিজুল ইসলাম ও হাবিবুর রহমানের ছেলে জহিরুল ইসলাম গত বৃহস্পতিবার ভোরে বস্তল এলাকা থেকে লেগুনা নিয়ে আড়াইহাজার উপজেলার হাইজাদী ইউনিয়নের ইলমদী এলাকায় কারখানার শ্রমিক নিয়ে আসার জন্য বের হন। পরে স্বজনরা খবর পান তাদেরকে ডাকাত আখ্যা দিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
ছেলে হত্যার বিচার চাইতে এসে নিহত জহিরুল ইসলামের বাবা হাবিবুর রহমান চোখের পানি মুছতে মুছতে বলেন, আমার ছেলে ভোর ৪টায় গাড়ি নিয়ে বের হওয়ার পর আর বাড়ি ফিরেনি। পরে জানতে পারি তাকে ইলমদী এলাকায় মিথ্যা অপবাদ দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবি করছি৷
নিহত মফিজুলের আত্মীয় আসাদ মিয়া বলেন, দুজন যুবককে অপহরণ করে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ অঞ্চলে তাদের কোন খারাপ রেকর্ড নেই। বিষয়টি সঠিক তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত দোষীদের বিচার দাবি করছি।
এদিকে মানববন্ধনে নিহতদের স্বজনরা অভিযোগ করে বলেন, আড়াইহাজার থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ তাদের মামলা নিচ্ছে না।
তালতলা তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ আবু সাইদ জানান, আমরা ঊর্ধ্বতন অফিসারদের সঙ্গে কথা বলেছি। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে আসল রহস্য উদঘাটন করা হবে। আপনারা সড়ক ছেড়ে যার যার বাসায় চলে যান। পরে নিহতদের স্বজনরা রাস্তা থেকে চলে যায়। বর্তমানে যানচলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।