বগুড়ার শেরপুরের কাফুড়া পূর্বপাড়া গ্রামে স্ত্রীর কাছে রোববার (১৬ জানুয়ারী) সকালে টাকা চেয়ে তা না পেয়ে স্বামীর মারধরে জীবন দিতে হলো গৃহবধু লিজা খাতুনের (২২)। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। এ ঘটনায় স্বামী সোহেল রানা (৩০)-কে আটক করা হয়েছে।
জানা যায়, উপজেলার গাড়িদহ ইউনিয়নের কাফুড়া পূর্বপাড়া গ্রামের নজরুল ইসলামরে ছেলে বাসের সুপারভাইজার সোহেল রানার সাথে তিন বছর আগে খামারকান্দি ইউনিয়নের ভাতারিয়া গ্রামের জহুরুল ইসলামের মেয়ে লিজা খাতুনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই সংসারে ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকতো। লিজাকে তার বাবার বাড়ি থেকে টাকা আনার জন্য চাপ দিতো সোহেল। লিজা বেশ কয়েকবার টাকা এনে তার সংসারে খরচ করে। এরই এক পর্যায়ে শনিবার রাতে সোহেল তার স্ত্রী লিজার কাছে ৭০ টাকা দেয়। সেই টাকা রোববার সকালে ফেরত চাইলে সংসারে খরচ হওয়ায় লিজা দিতে ব্যর্থ হয়। এই ক্ষোভে সে লিজাকে বেধরক মারধর করে চলে যায়। এই ক্ষোভে লিজা তার নিজ ঘরের তীরের সাথে ওড়না পেচিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে। ঝুলন্ত লাশটি খাটের উপর হাটু গেড়ে বসানো ছিলো বলে এলাকাবাসী জানায়। তবে এটি আত্মহত্যা নাকি হত্যা এ নিয়ে জল্পনা কল্পনা সৃষ্টি হয়েছে। সোহেলের কথা অসংলগ্ন হওয়ায় তাকে আটক করে স্থানীয়রা পুলিশে সোপর্দ করেছে।
এ ব্যাপারে লিজার স্বামী সোহেল রানা জানায়, গতকাল রাতে লিজাকে সে ৭০ টাকা দিয়েছিলো। সকাল বেলা লিজার কাছে ৭০ টাকা চাইলে লিজা জানায় টাকা খরচ হয়ে গেছে। এরপর সে লিজাকে মারধর করে বাড়ির বাইরে চলে যাই। পরে বাড়িতে এসে দেখি লিজা গলায় ফাঁস দিয়েছে।
শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ শহিদুল ইসলাম জানান, গলায় ফাঁস দেয়া অবস্থায় লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। হত্যা না আত্মহত্যা এখনও বলা যাচ্ছেনা। পোস্ট মর্টেম রিপোর্ট পাওয়ার পর মৃত্যুর খবর জানা জানা যাবে। নিহতের স্বামীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে থানায় আনা হয়েছে।