রাজধানীর তুরাগ থানাধীন দলিপাড়া এলাকায় তৌহিদুল ইসলাম (২৪) নামে এক যুবকের আত্মহত্যা করার ঘটনা ঘটে। মৃত তৌহিদ ময়মনসিংহের ভালুকা থানার বরাইদ গ্রামের আব্দুল লতিফ ও সাহেরা খাতুনের ছেলে।
২৩ আগস্ট মঙ্গলবার আনুমানিক সন্ধা ৭:৩০ ঘটিকায় নিজ বাসায় সিলিং ফ্যানের সাথে স্ত্রীর ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে তৌহিদ। আত্মহত্যার সময় মৃত তৌহিদের রুমের দরজা খোলা অবস্থায় ছিল। পাশের রুমের ভাড়াটিয়া তৌহিদ এর খোজ নিতে ঘরের দরজা ধাক্কা দিয়ে ফাঁকা করলে মৃত তৌহিদকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়, এবং সাথে সাথেই ৯৯৯ এ সংবাদ দেয়।
৯৯৯ এ সংবাদ পেয়ে রাত ৮ টায় তুরাগ থানা উপ পুলিশ পরিদর্শক আল আরাফাত মিঠু দ্রুত ঘটনাস্থলে পস্থিত হয়।
জানা যায়, মৃত তৌহিদ ই-পাসপোর্ট অফিসে ভাড়ায় তার নিজস্ব মাইক্রোবাস চালাতেন। এবং দলিপারার আনিস মল্লিকের বাড়িতে প্রায় ২ বছর ধরে ভাড়া থাকতেন।
মৃত তৌহিদ প্রায় ৭/৮ মাস পূর্বে প্রেমের সম্পর্কের মাধ্যমে বিয়ে করেন সুমাইয়া আক্তার ঋতুকে, এবং স্বামী স্ত্রী আলাদা বসবাস করতেন, মৃত তৌহিদের স্ত্রী সুমাইয়া আক্তার ঋতু স্পেশাল সিকিউরিটি প্রোটেক্ট ব্যাটালিয়নের একজন মহিলা কনস্টেবল। তিনি মোহাম্মদপুরে শাহজালাল হাউজিং পুলিশের ব্যারাকে থাকতেন। এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ডিউটি করতেন। ঋতু মাঝে মাঝে উত্তরা আসতেন এবং স্বামীর সাথে থাকতেন।
মৃত তৌহিদের ফেসবুক মেসেঞ্জার চ্যাট এবং পরিচিতজনদের মাধ্যমে জানা যায় যে, স্বামী স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্যের কারণেই এই আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে।
পরবর্তীতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে আসেন, উত্তরা বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনার আশিকুর রহমান, তুরাগ থানা অফিসার ইনচার্জ মেহেদী হাসান, তুরাগ থানা তদন্ত অফিসার শরিফুল ইসলাম।
মৃত দেহের সুরতহাল শেষে লাশ ময়নতদন্তের জন্য শহীদ সোহরওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
এ বিষয়ে আইনত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।