সব ধরণের জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে কাতারের মাঠে বল গড়াল। জাকজমকপূর্ণ উদ্বোধনীর মাধ্যমে পর্দা ওঠেছে কাতার বিশ্বকাপের। তবে শুরুটা ভালো হলো না মধ্যপ্রাচ্যের তথা আরব দেশ কাতারের। ইকুয়েডরের বিপক্ষে মাঠে নেমে প্রথমার্ধে ব্যাকফুটে পড়ে যায় স্বাগতিক কাতার ।
বিশ্বকাপের প্রথম গোলটি আসল পেনাল্টি থেকে । গোলটি করলেন এনার ভ্যালেন্সিয়া। যার ফলে শুরুতেই জ্বলে উঠলো ইকুয়েডরের অন্যতম স্ট্রাইকার ভ্যালেন্সিয়া। পেনাল্টির সুযোগটা তিনি লুফে নিয়েছেন। কাতারের গোলরক্ষক আল শিবকে ফাঁকি দিয়ে জালে বল আটকে দিলেন এনার ভ্যালেন্সিয়া।
কাতারকে ২-০ ব্যবধানে পরাজিত করে দারুণ শুভসূচনা করলো ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ইকুয়েডর। তবে খেলার ৮৬ মিনিটে কাতারের ফরোয়ার্ড মুনতারি গোলবারে শর্ট করলেও বারে লেগে ফিরে আসে। ফলে প্রথম ম্যাচেই কাতারকে খালি হতে মাঠ ছাড়তে হলো।
তবে ম্যাচে গোল সংখ্যা আরো বাড়তো যদি ম্যাচের শুরুর তিন মিনিটের মাথায় কাতারের জালে বল জড়ান এনার ভ্যালেন্সিয়া। তবে অফসাইডে কাটা পড়ে সেই গোলটি। রেফারির বাঁশিতে তখন যেন উল্লাসে মাতে কাতারের সমর্থকেরা। গোল বাতিলের পর আরো আক্রমণাত্মক হয়ে উঠে ইকুয়েডর। গতিময় ফুটবলের সুবাদে প্রথমার্ধ শেষে ২-০ গোলের ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছে লাতিন আমেরিকার দেশটি।
আল বাইত স্টেডিয়ামে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে মাঠে নামে স্বাগতিক কাতার ও ইকুয়েডর। ম্যাচের তৃতীয় মিনিটেই আরবদের ক্ষণিকের জন্য কাঁপিয়ে দেয় দক্ষিণ আমেরিকার দেশটি। তবে সেই যাত্রায় অফসাইড বাধা হয়ে দাঁড়ালেও ভ্যালেন্সিয়ার নৈপুণ্যে এগিয়ে যায় ইকুয়েডর। ম্যাচের বয়স যখন ১৬ মিনিট তখন কাতারের গোলরক্ষক সাদ আল শিব ডি বক্সের ভেতর ফাউল করে বসেন। আর পেনাল্টি পেয়ে মরুর বুকের প্রথম বিশ্বকাপের গোলদাতা বনে যান এনার ভ্যালেন্সিয়া।
ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয় স্বাগতিকরা। উল্টো ম্যাচে ৩১তম মিনিটে এঞ্জেলো প্যারিকিয়াদোর অ্যাসিস্টে দারুণ এক হেডারে আবারও কাতারের জালে বল জড়ান সেই ফরোয়ার্ড ভ্যালেন্সিয়া।
দ্বিতীয়ার্ধে মুহুর্মুহু আক্রমনে কাতারকে চাপে রাকলেও কোন দল বল জালে আটকাতে পারেনি।মরুর দেশ কাতারের গোল শুণ্য হাতে মাঠ ছাড়তে হলো। বলা যায়,শুরুটা ভালো করতে পারল না স্বাগতিক কাতার।
উল্লেখ্য, আজ থেকে শুরু হয়ে দেশটির লুসাইলে অবস্থিত ৮০ হাজার ধারণক্ষমতার লুসাইল স্টেডিয়ামটিতে হবে এবারের আসরের সবচেয়ে বড় ম্যাচ। আগামী ১৮ ডিসেম্বর সেখানে অনুষ্ঠিত হবে ফাইনাল ম্যাচ। কাতারের পাঁচ শহরের আটটি স্টেডিয়াম জুড়ে চলবে বিশ্বকাপের আয়োজন। যাতে অংশ নেবে ৩২ দল, খেলবে ৬৪টি ম্যাচ।