‘সাংবাদিকদের কাছে তথ্য প্রকাশের ব্যাপারে ওই সভায় কোনো বক্তব্য রাখা হয়নি। ১৯৬৯ সালের সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন অধ্যাদেশের গোপনীয় তথ্যের সুরক্ষা বিষয়ে ১৯ ধারায় বলা হয়েছে। ওই ধারাটি সবাইকে স্মরণ করিয়ে দেয়া হয়েছে। এ ধারায় বর্তমান ও সাবেক এমএলএসএস থেকে চেয়ারম্যান পর্যন্ত কর্মকর্তাদের তথ্যের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।’
সাংবাদিকদের কোনো তথ্য সরবরাহ করলে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির কর্মকর্তাদের জেলের ভয় দেখানো হচ্ছে বলে একটি জাতীয় দৈনিকে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে সোমবার। এর বিপরীতে নিজেদের অবস্থান পরিস্কার করেছেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘বর্তমান কমিশন স্বচ্ছতায় বিশ্বাসী। আমরা পুঁজিবাজারে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠায় কাজ করছি। বিএসইসিও এর বাইরে নয়। সাংবাদিকরা তাদের দায়িত্বশীল রিপোর্টিংয়ের মাধ্যমে এই স্বচ্ছতা প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখেন। তাই বিএসইসি থেকে সাংবাদিকদের তথ্য প্রাপ্তিতে কোনো বাধা নেই।’
রাজধানীর পল্টনে অবস্থিত অর্থনীতি নিয়ে কাজ করা সাংবাদিকদের সংগঠন ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) আয়োজিত এক সেমিনার শেষে প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
সেমিনারের বিষয় ছিল ‘প্রসপেক্টাস অ্যান্ড চ্যালেঞ্জেস অফ বাংলাদেশ ক্যাপিটাল মার্কেট।’ এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএসইসি চেয়ারম্যান।
প্রকাশিত ওই সংবাদে দাবি করা হয়, বৈঠকে কর্মকর্তাদের সতর্ক করে বলা হয়েছে, ‘সাংবাদিকদের কাছে কোনো কর্মকর্তা তথ্য সরবরাহ করলে ওই কর্মকর্তা চাকরিচ্যুত হতে পারেন। এমনকি জেল-জরিমানাও হতে পারে।’
বিষয়টি সত্য কি-না জানতে চাইলে তিনি অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলাম বলেন, ‘সাংবাদিকদের কাছে তথ্য প্রকাশের ব্যাপারে ওই সভায় কোনো বক্তব্য রাখা হয়নি। ১৯৬৯ সালের সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন অধ্যাদেশের গোপনীয় তথ্যের সুরক্ষা বিষয়ে ১৯ ধারায় বলা হয়েছে। ওই ধারাটি সবাইকে স্মরণ করিয়ে দেয়া হয়েছে। এ ধারায় বর্তমান ও সাবেক এমএলএসএস থেকে চেয়ারম্যান পর্যন্ত কর্মকর্তাদের তথ্যের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘কোনো কোনো কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, তারা বিভিন্ন পার্টির কাছে তথ্য শেয়ার করেন। বিভিন্ন নথির ছবি তুলে পাঠিয়ে দেন। এটি আইনের লংঘন। আইনের সুষ্ঠু বাস্তবায়ন ও শৃঙ্খলা নিশ্চিত করার স্বার্থে কর্মকর্তাদেরকে এভাবে তথ্য শেয়ার না করার জন্য সতর্ক করা হয়েছে। আইনে এই ধরনের অপরাধের শাস্তি কী সে বিষয়গুলো স্মরণ করিয়ে দেয়া হয়েছে। এর সঙ্গে সাংবাদিকদের তথ্য দেয়ার কোনো সম্পর্ক নেই।’