রাজধানীর উত্তরা আজমপুর কসমো ফিলিং স্টেশন নামের একটি তেল পাম্পে কোন প্রকার আইনি নোটিশ প্রধান না করে হঠাৎ করে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেছেন রাজউক এমনি অভিযোগ ফিলিং স্টেশন কর্তৃপক্ষের।
রাজউক বলছেন এই প্লটটি গাজী আব্দুর রব নামের এক ব্যাক্তি ২৫ বছর পূর্বে লিজ নেন। তার লিজের মেয়াদ কাল ইতি মধ্যে শেষ তাই তারা অভিযান পরিচালনা করছেন উচ্ছেদের জন্য। কিন্তু লীজ নেয়া পাম্পের মালিক গাজী আব্দুর রব বলছেন তার চুক্তির মেয়াদ আছে ২০২৫ সাল এবং তাকে কোন প্রকার আইনি নোটিশ না দিয়ে সকাল বেলায় অবৈধ ভাবে অভিযান পরিচালনা করে ভাংচুর চালাচ্ছে রাজউক।
বৃহস্পতিবার সকল সাড়ে ৯ টার দিকে অভিযানটি পরিচালনা করেন রাজউকের সার্কেল ৩ এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাজিনা সারোয়ার।
অভিযানে ফিলিং স্টেশন এর চতুর্পাশে টিন দিয়ে ঘিরে দেয়া হয় এবং পাম্পের অফিস কক্ষে সিলগালা করে দেওয়া হয়।
ফিলিং স্টেশনের ম্যানেজার মোস্তাফিজুর রহমান মানবকন্ঠকে বলছে, সকাল বেলা হঠাৎ করে বড় বড় গাড়ি নিয়ে সার্ভিস টাইমে স্টেশনের ভিতর ঢুকে ভাংচুর চালাতে থাকেন। আমাদের মালামাল গোছানোর সময়টুকু দেননি তারা। তারা অভিযান পরিচালনা করলে আমাদের তো আগে থেকে নোটিশ প্রদান করবে রাজউক থেকে আমরা কোন নোটিশ পাইনি এবং আমাদের বৈধ কোন কাগজপত্র ও দেখতে রাজউকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাজিনা সারওয়ার।
ফিলিং স্টেশনের মালিক গাজী আব্দুর রব মানবকন্ঠ কে বলেন, ১৯৯৭ সালে রাজধানীর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ রাজউক থেকে এই প্লটটি ২৫ বছরের চুক্তিতে নেই একটি ফিলিং স্টেশন করার জন্য। রাজউক থেকে কাগজ পাওয়ার পর ফিলিং স্টেশনের নির্মান করতে সময় লাগে তিন বছর। আমি আমার চুক্তি অনুযায়ী ২০০০ সালের জানুয়ারি থেকে ভাড়া পরিশোধ করতে শুরু করি। তিনি আরো বলেন, ২০০০ সালের জানুয়ারি থেকে আমার সাথে রাজউকের চুক্তি সেই অনুযায়ী ২০২৫ সাল পর্যন্ত আমার বৈধতা রয়েছে। তিনি আরো বলেন, রাজউক কর্মচারী বহুমুখী সমিতির লোকজন চাচ্ছে আমাকে সরিয়ে দিতে গত ছয় মাস আগেও রাজউক থেকে অভিযান পরিচালনা করে চুক্তিতে সময় থাকায় তারা অভিযান না করে চলে যান।
উচ্ছেদের বিষয়ে রাজউকের সার্কেল ৩ এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাজিনা সারোয়ার বলেন, এ বিষয়ে আমার কোন বক্তব্য নেই এ বিষয়ে জানতে চাইলে আপনারা পিআর শাখায় যোগাযোগ করেন।