প্রতি বছরের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। ঈদের দিন সকাল ৭টা, ৮টা, ৯টা, ১০টা ও ১০টা ৪৫ মিনিটে বায়তুল মোকাররমে জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া, সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে জাতীয় ঈদগাহে আসন্ন ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল সাড়ে ৮টায়।
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজের জামাত সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে অনুষ্ঠিত হবে। আর জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজের জামাত সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে অনুষ্ঠিত হবে। এতে জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ, হুইপবৃন্দ, মন্ত্রিপরিষদের সদস্যবর্গ, সংসদ-সদস্য ও সংসদ সচিবালয়ের কর্মচারীসহ মুসল্লিরা অংশ নেবেন।
ঈদ সামনে রেখে প্রায় পাঁচ মাস আগে রাজধানীতে আদালত প্রাঙ্গন থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই জঙ্গি ছিনিয়ে নেওয়ার বিষয়টি মাথায় রেখে যেকোন ধরণের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা প্রতিহত করতে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। যেহেতু, জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদুল ফিতরের প্রধান ঈদ জামাতে রাষ্ট্রপতি, প্রধান বিচারপতি, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, বিচারপতি, রাজনৈতিক ব্যক্তি ও কূটনৈতিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা অংশ নেন। পাশাপাশি ঢাকাবাসীও স্বতঃস্ফূর্তভাবে ঈদের প্রধান জামাতে অংশ নেন। তাই এ ঈদগাহটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই বিষয়টি বিশেষ বিবেচনায় রেখেছে একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা।
পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন এই প্রসঙ্গে বলেছেন, রাজধানীসহ সারাদেশের ঈদগাহের জন্য ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ঈদের জামাতে পুলিশের পোশাকে ও সাদা পোশাকে নিরাপত্তা থাকবে। এছাড়া র্যাব, ডিবি, এপিবিএন ও কমিউনিটি পুলিশিংসহ সবাইকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তারা পুরো এলাকা কড়া নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলবে।
এই বিষয়ে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট প্রধান মো. আসাদুজ্জামান বলেন, দেশে জঙ্গিদের হামলার সক্ষমতা নেই। তবু আসন্ন ঈদুল ফিতর কেন্দ্রে করে সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
অন্যদিকে, র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়নের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জানিয়েছেন, সব ধরনের ঝুঁকি পর্যালোচনা করে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে এলিট ফোর্সের পক্ষ থেকে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ঈদগাহ ময়দান এলাকায় র্যাবের কন্ট্রোলরুম, স্ট্রাইকিং রিজার্ভ, চেকপোস্ট ও সিসিটিভি মনিটরিংসহ যে কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবিলায় র্যাবের বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট, ডগ স্কোয়াড ও হেলিকপ্টারগুলো সার্বক্ষণিক প্রস্তুত রাখা হবে।
সরেজমিনে জাতীয় ঈদগাহ ময়দান ঘুরে দেখা যায়, বিশাল এলাকাজুড়ে প্যান্ডেল তৈরি করা হয়েছে। ত্রিপল দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে পুরো মাঠ। পানিরোধক শামিয়ানা দিয়ে ছাউনি প্রস্তুত। ঈদগাহজুড়ে নিরাপত্তার জন্য স্থাপন করা হচ্ছে সিসি ক্যামেরা।