জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেছেন, কৃষকের উৎপাদন খরচ, কোল্ডস্টোরেজ ভাড়া, পরিবহন ব্যয়; সবকিছু মিলিয়ে আলুর কেজি কোনোভাবেই ৩৫ টাকার বেশি হওয়া উচিত নয়। মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) কোল্ড স্টোরেজ ব্যবসায়ী এবং এফবিসিসিআইএর সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এক কথা বলেন।
তিনি বলেন, কৃষকরা মাঠ পর্যায়ে এ মৌসুমে ১০ থেকে ১২ টাকার মধ্যে আলু বিক্রি করেছেন। যা অন্যান্য খরচসহ ব্যবসায়ীরা হিমাগারে ১৮ থেকে ২০ টাকা দামের মধ্যে সংরক্ষণ করেছিলেন। প্রতি কেজি আলুতে হিমাগারে সংরক্ষণের খরচ ৫ টাকা। এরপর সেটি রাজধানীতে পাইকারি ও খুচরা বাজার হয়ে ভোক্তা পর্যায় পর্যন্ত পৌঁছাতে সর্বোচ্চ ৩৫ থেকে ৩৬ টাকা হতে পারে। কিন্তু বর্তমানে খুচরা বাজারে আলুর দাম ৪৮ থেকে ৫০ টাকা, যা অযৌক্তিক বলে জানিয়েছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান।
তিনি বলেন, স্থানীয় পর্যায়ে মনিটরিং বাড়ানোর জন্য সব পক্ষের কাছে আগামীকাল বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশনা যাবে। কৃষি মন্ত্রণালয় কাজ করছে, আমরা কাজ করছি, আশা করা যায় আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে আলুর বাড়তি দাম কমিয়ে আনতে সক্ষম হবো।
সভায় কোল্ড স্টোরেজ ব্যবসায়ী এবং এফবিসিসিআই পরিচালক সিরাজুল ইসলাম জানান, কোল্ড স্টোরেজে রাখা আলু ১৩/১৪ টাকায় কিনে এখন যে দরে বিক্রি হচ্ছে সেটা অস্বভাবিক। সরকারকে বিব্রত করতে সুযোগ নিচ্ছে কারসাজির হোতারা। কিছু ব্যবসায়ী সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে দাম বাড়াচ্ছে বলে মন্তব্য করেন কেউ কেউ। তবে, শ্যামবাজারের পাইকারি ব্যবসায়ীরা জানান, বন্যা-বর্ষার কারণে দাম বেড়েছে। অন্য শাকসবজির দাম বেশি হওয়ার আলু’র ওপর এর প্রভাব পড়েছে বলেও অভিযোগ করেন তারা।
আলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ১৫ জেলায় কোল্ড স্টোরেজের মজুদ মনিটরিং করবে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
আলুর দর নিয়ন্ত্রণে জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে বুধবার থেকে সমন্বিত মনিটরিং জোরদার করা হবে। ডিসেম্বর পর্যন্ত আলুর মজুদ পর্যাপ্ত; মনিটরিং জোরদার হলে সাতদিনের মধ্যে আলুর দাম ৩৫ টাকায় নেমে আসবে, আশা ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের। সভায় আলুর স্টোরেজ মালিক, পাইকারি ব্যবসায়ী, আড়তদার, কৃষি মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।