নিজেদের বধির পরিচয় দিয়ে অভিনব কায়দায় সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের চেম্বারে ঘুরে টাকা তুলেছে কয়েকজন পুরুষ ও একজন নারী।
মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এই দলের ৩ জন সদস্যকে আটক করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি। বধির সংঘের নামে চাঁদা তোলা তিন ব্যক্তিকে তাদের প্রতিষ্ঠান প্রধানের নাম লিখতে বলা হলে তারা সেটা লিখতে অস্বীকৃতি জানায়। প্রথম লিখেতে জানে না বললে। পরে চাপ প্রয়োগের পর তারা নিজেদের নাম লিখেছে কাকুলী, সাইফুল হক এবং ইমতিয়াজ কামরান।
জানা যায়, ‘সিলেট বধির সংঘ’ নামে একটি প্রতিষ্ঠানের প্যাড দিয়ে তারা প্রতারণা করেছে। কারও কাছ থেকে ১০০ টাকা, কারও কাছ থেকে ৫০০ টাকা তুলছে তারা। ২৭০ জন বোবা ছেলে ও ৫০ জন বোবা ও প্রতিবন্ধীদের খেলার সরঞ্জামাদি ও সেলাই যন্ত্র কিনে দেওয়ার সাহায্য চেয়ে তারা টাকা তুলছিল।
এসব টাকা দানকারী ব্যক্তির নাম ও টাকার অংকটি তার লিখে রাখছে একটি কাগজে। এভাবে তারা বিভিন্ন অফিসে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে টাকা সংগ্রহ করছে। কিন্তু কার্যালয় থেকে বের হয়েই তারা টাকার অংকটি বদলে নিচ্ছে কলমের নিখুত টানে। ১০০ টাকা হয়ে যাচ্ছে ১১০০ টাকা, ২০০ টাকা হয়ে যাচ্ছে ২২০০ টাকা।
পরবর্তীতে আরেকটি চেম্বারে গিয়ে যখন তারা টাকা সাহায্য চায় তখন পূর্ববর্তী শিক্ষক বা কর্মকর্তার সামনে মিথ্যে টাকার অংক সম্বলিত কাগজটি তারা প্রকাশ করে এবং আরও বেশি পরিমাণ চাঁদা দিতে বাকিদের অনুপ্রাণিত করছে।
এ ঘটনায় ক্যাম্পাসে উপস্থিত পুলিশ সদস্যরা ইতিমধ্যে তাদের কাছ থেকে একজনের জাতীয় পরিচয়পত্রের নকল কপি উদ্ধার করে। কিছু না শোনার অভিনয় করলেও পরবর্তীতে বিপদ আঁচ পেয়ে ‘আর কখনো এ রকম অন্যায় করবে না বলে’ তারা প্রক্টর প্রফেসর ড. মো. মনিরুল ইসলামের কাছ ক্ষমা চায়।
প্রক্টর প্রফেসর ড. মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, প্রতারণার বিভিন্ন আলামত ইতিমধ্যে সংগ্রহ করেছি। সিলেটের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিকে বিষয়ে সচেতন থাকতে আহবান জানিয়েছেন।