1. shahinit.mail@gmail.com : dhaka24 : ঢাকা টোয়েন্টিফোর
  2. arifturag@gmail.com : ঢাকা টোয়েন্টিফোর : ঢাকা টোয়েন্টিফোর
শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫, ০৪:২৫ অপরাহ্ন

দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৩ উইকেটে হারিয়ে ফাইনালে অস্ট্রেলিয়া

Dhaka24 | ঢাকা টোয়েন্টিফোর -
  • প্রকাশ | বৃহস্পতিবার, ১৬ নভেম্বর, ২০২৩
  • ২৮৮ পাঠক

ছোট্ট পুঁজি নিয়েও বেশ লড়াই করল দক্ষিণ আফ্রিকা। ইডেন গার্ডেন্সে বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনাল ম্যাচটা তাতে হয়ে উঠল জমজমাট। তবে শেষ পর্যন্ত এটাই প্রমাণ হলো যে, রানটা কম হয়ে গেছে প্রোটিয়াদের। বিশ্বকাপের মঞ্চে তাই আবারও সেই চোকার্স হয়েই রইল প্রোটিয়ারা। অস্ট্রেলিয়া পৌঁছে গেল আরও এক বিশ্বকাপের ফাইনালে। বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) দক্ষিণ আফ্রিককে ৩ উইকেটে হারিয়ে ফাইনালে পা রেখেছে অস্ট্রেলিয়া। ২১৩ রানের লক্ষ্য তারা ছুঁয়েছে ১৬ বল হাতে রেখে।

ষষ্ঠ শিরোপার লক্ষ্যে আগামী রবিবার আহমেদাবাদে স্বাগতিক ভারতের মুখোমুখি হবে অস্ট্রেলিয়া।

রান তাড়া করতে নেমে দুই ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার ও ট্রাভিস হেডের ব্যাটে দারুণ শুরুই পেয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। দুই ওপেনার স্কোর বোর্ডে যোগ করেন ৬০ রান।

সপ্তম ওভারে ১৮ বলে ২৯ রান করা ওয়ার্নারকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন এইডেন মার্করাম। পরের ওভারে মিচেল মার্শকে রানের খাতা খোলার আগেই ফিরিয়ে দেন কাগিজো রাবাদা।

১৫তম ওভারে ট্রাভিস হেডকে ফেরান কেশভ মহারাজ। ৪৮ বলে ৯ চার ও ২ ছক্কায় ৬২ রানের ইনিংস খেলেন হেড। পরে তার এই ইনিংসটাই ম্যাচের বড় ব্যবধান গড়ে দেয়। তাই তো ম্যাচসেরার স্বীকৃতি হাতে ওঠে তার।

আফগানিস্তানের বিপক্ষে রূপকথার ইনিংস খেলা গ্লেন ম্যাক্সওয়েল এদিন ৫ বলে ১ রানেই থামেন। তার আগে মার্নাশ লাবুশেন ফিরেন ৩১ বলে ১৮ রান করে। ফলে ৩ উইকেটে ১৩৩ থেকে ৭ উইকেটে ১৩৭ রানে পরিণত হয় অজিরা। তাতে চাপ জেঁকে বসে। সেখান থেকে স্টিভেন স্মিথের ৬২ বলে ৩০ ও জশ ইংলিশের ৪৯ বলে ২৮ রানের ইনিংসে ম্যাচে থাকে অস্ট্রেলিয়া। আর মিচেল স্টার্ক ৩৮ বলে অপরাজিত ১৬ ও প্যাট কামিন্স ২৯ বলে অপরাজিত ১৪ রানের ইনিংসে জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়ে।

অবিচ্ছিন্ন অষ্টম উইকেট জুটিতে স্টার্ক ও কামিন্স যোগ করেন ২২ রান। প্রোটিয়াদের পক্ষে সর্বাধিক ২টি করে উইকেট নিয়েছেন জেরাল্ড কোয়েটজে ও তাবরাইজ শামসি।

এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ২৪ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলে দক্ষিণ আফ্রিকা। লিগ পর্বে ভারত ও নেদারল্যান্ডস ম্যাচ বাদে বাকি ম্যাচগুলোতেই দুর্দান্ত খেলেছে তারা। কিন্তু এই দলটাকে কেন চোকার্স বলা হয়, এদিন ম্যাচের শুরু থেকেই তা আরও একবার প্রমাণ হয়ে যাচ্ছিল।

মিচেল স্টার্কের করা ইনিংসের প্রথম ওভারেই তেম্বা বাভুমা ফিরে যান রানের খাতা খোলার আগেই। আসরে চার চারটি সেঞ্চুরি হাঁকানো কুইন্টন ডি কক থামেন ১৪ বলে মাত্র ৩ রান করে। জস হ্যাজলউডের শিকার তিনি।

২০ বলে ১০ রান করা এইডেন মার্করামকে ফিরিয়ে স্টার্ক নিজের দ্বিতীয় শিকার ধরেন। আর ৩১ বলে ৬ রান করে রাসি ফন ডার ডুসেন হ্যাজলউডের দ্বিতীয় শিকার হন।

দলের বিপর্যয়ের মুখে হাল ধরেন হেইনরিক ক্লাসেন ও ডেভিড মিলার। পঞ্চম উইকেটে দুজন ১১৩ বলে ৯৫ রান যোগ করেন। ৪৮ বলে ৪৭ রান করা ক্লাসেনকে ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙেন ট্রাভিস হেড।

তবে মিলার থেমেছেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ সেঞ্চুরির পর। যে পথে সপ্তম উইকেটে জেরাল্ড কোয়েটজির সঙ্গে ৫৩ রান যোগ করেন তিনি। ৭০ বলে ফিফটি পূরণ করা মিলার সেঞ্চুরি পূরণ করেন ১১৫ বলে। তবে সেঞ্চুরি পূরণের পরের বলেই ফেরেন তিনি। তার ইনিংসে ৮টি চারের সঙ্গে রয়েছে ৫টি ছক্কা। বিশ্বকাপের নক আউট পর্বে সেঞ্চুরি পাওয়া প্রথম দক্ষিণ আফ্রিকান তিনি।

ইনিংসে ২ বল বাকি থাকতে ২১২ রানে থামে প্রোটিয়াদের ইনিংস। অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে ৩টি করে উইকেট নেন স্টার্ক ও প্যাট কামিন্স। ২টি করে উইকেট নিয়েছেন জশ হ্যাজলউল ও ট্রাভিস হেড।

লাইক কমেন্ড ও শেয়ার করে সাথে থাকুন-

আরো খবর

© All rights reserved | 2016 dhaka24.net by |

Theme Customized BY WooHostBD