তফসিল ঘোষণার প্রতিবাদে ডাকা বাম গণতান্ত্রিক জোটের অর্ধদিবস হরতালে সিলেটে মিছিল করতে বাধা এবং এক পর্যায়ে মিছিল থেকে ব্যানার কেড়ে নেয় পুলিশ। বাম জোটের নেতা-কর্মীরা তখন পুলিশের বাধার মুখে ব্যানার ছাড়াই মিছিল ও সমাবেশ করেন।
বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) সকালে সিলেট নগরীর জিন্দাবাজার এলাকার সমবায় ভবনের সামনে এ ঘটনা ঘটে। হরতাল চলাকালে অবশ্য নগরীতে যান চলাচল কম দেখা গেছে। দূরপাল্লার বাসও সিলেট ছেড়ে যায়নি।
হরতালের শুরুতে বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতা-কর্মীরা সকালে সিলেট নগরীর চৌহাট্টা এলাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জড়ো হন। সকাল নয়টার দিকে তারা সেখান থেকে হরতালের সমর্থনে মিছিল বের করেন। মিছিলটি চৌহাট্টা পয়েন্ট থেকে জিন্দাবজার হয়ে বন্দরবাজার পয়েন্টে গেলে সমবায় ভবনের সামনে পুলিশের বাধা দেয়। সেখানে পুলিশি বাধা ডিঙিয়ে ছিল করতে গেলে পুলিশের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে পুলিশ তাদের উত্তেজক স্লোগান বাদ দিয়ে শান্তিপূর্ণ ও সহনীয়ভাবে কর্মসূচি পালনের পরামর্শ দেয়। কিছুক্ষণ পর সিলেটের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নেতা-কর্মীরা জড়ো হয়ে জিন্দাবাজার এলাকা থেকে মিছিল বের করেন। সেখানেও আরেক দফা পুলিশের বাধার মুখে পড়েন। বাম জোটের নেতা-কর্মীরা ঘটনাস্থলে অবস্থান নিলে এক পর্যায়ে পথ ছেড়ে দেয় পুলিশ। এরপর মিছিলটি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় গিয়ে শেষ হয়।
হরতালে কাউকে বাধা দেওয়া হয়নি জানিয়ে সিলেট কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলী মাহমুদ বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে হরতালকারীদের সহায়তা করতে বলা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে হরতাল শেষে বাম জোটের সংক্ষিপ্ত সমাবেশ বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি জেলা সাধারণ সম্পাদক খায়রুল হাসান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকট আনোয়ার হোসেন সুমন, বাসদ জেলা সমন্বয়ক আবু জাফর, বাসদ (মার্ক্সবাদী) জেলা আহ্বায়ক উজ্জ্বল রায়, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সভাপতি সিরাজ আহমদ বক্তব্য দেন। বক্তারা, সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের স্বার্থে ঘোষিত তফসিল বাতিল করার দাবি জানান।
এদিকে, বিএনপি-জামায়াতের পঞ্চম দফার দ্বিতীয় দিনের অবরোধে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত কোথাও কোনো অঘটনের খবর পাওয়া যায়নি। দূরপাল্লার যানবাহন চলাচল না করলেও ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক ছিল। যাত্রী না থাকায় দূরপাল্লার বাস তেমন ছেড়ে যেতে দেখা যায়নি। সিলেট নগরীর বিভিন্ন মোড়ে ছিল আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর টহল রয়েছে। বিএনপি, জামায়াতসহ তাদের অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের অবস্থান কোথাও দেখা যায়নি।