1. shahinit.mail@gmail.com : dhaka24 : ঢাকা টোয়েন্টিফোর
  2. arifturag@gmail.com : ঢাকা টোয়েন্টিফোর : ঢাকা টোয়েন্টিফোর
শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫, ০১:১৮ পূর্বাহ্ন

ঝিনুকের স্টেশন থেকে ছুটল প্রথম বাণিজ্যিক ট্রেন

Dhaka24 | ঢাকা টোয়েন্টিফোর -
  • প্রকাশ | শুক্রবার, ১ ডিসেম্বর, ২০২৩
  • ১৫৮ পাঠক

অবশেষে সাগরের গর্জন বুকে নিয়ে ঝিনুকের স্টেশন থেকে ছুটল প্রথম বাণিজ্যিক ট্রেন। এ যেন এক দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান। প্রথমবারের মতো হুইসেল বাজিয়ে ট্রেন ছেড়ে গেল সমুদ্রনগরী কক্সবাজার থেকে।

শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টা ৩১ মিনিটে কক্সবাজার আইকনিক রেলটেশন থেকে ছেড়ে যায় এই ট্রেন। এর মধ্য দিয়ে ঢাকা-কক্সবাজার রুটে স্বপ্নের ট্রেনযাত্রা শুরু হলো। প্রথম ট্রেনের প্রত্যেক যাত্রীকে ফুল ও চকলেট দিয়ে বরণ করা হয়।

রেল কর্মকর্তাদের তথ্যমতে, আন্তঃনগর কক্সবাজার এক্সপ্রেস নামের এই ট্রেনটির ২০টি বগিতে ১ হাজার ২০ জন যাত্রী রয়েছে। ট্রেনটি প্রথম বিরতি দেবে চট্টগ্রাম স্টেশনে। তারপর এটি আরও ১৫ মিনিটের বিরতি দেবে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। সেখান থেকে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে গিয়ে শেষ হবে দেশের প্রথম পর্যটন ট্রেনের যাত্রা।

শুক্রবার দুপুর ১২টা ৩১ মিনিটে কক্সবাজার আইকনিক রেলস্টেশন থেকে ছেড়ে যাওয়া ট্রেনটির আজ রাত ৯টা ১০ মিনিটে ঢাকায় পৌঁছানোর কথা রয়েছে। ফিরতি ট্রেন কক্সবাজারের উদ্দেশে ঢাকার কমলাপুর স্টেশন ছাড়বে রাত সাড়ে ১০টায়।

ঢাকা-কক্সবাজার রুটে ট্রেন চলাচলে যাত্রীবাহী ট্রেনের গতিসীমা ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১২০ কিলোমিটার নির্ধারণ করা হয়েছে। কয়েক দফা পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচলের সফল কার্যক্রম শেষে গত ১১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কক্সবাজার রেল সংযোগ উদ্বোধনের সময় ডিসেম্বর থেকে দুটি ট্রেন চালুর নির্দেশ দেন।

নতুন এই ট্রেনে ঢাকা থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত শোভন চেয়ারের ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৯৫ টাকা। এসি চেয়ারের ভাড়া ১ হাজার ৩২৫ টাকা, এসি সিটের ভাড়া ১ হাজার ৫৯০ টাকা এবং এসি বার্থের ভাড়া (ঘুমিয়ে যাওয়ার আসন) ২ হাজার ৩৮০ টাকা।

অপরদিকে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত শোভন চেয়ারের ভাড়া ২০৫ টাকা, স্নিগ্ধা শ্রেণির ৩৮৬ টাকা, এসি সিটের ৪৬৬ এবং এসি বার্থের ভাড়া ৬৯৬ টাকা।

ট্রেনে যাতায়াতের ক্ষেত্রে যাত্রীসেবার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতির কথা জানান স্টেশনমাস্টার গোলাম রাব্বানী।

তিনি বলেন, ‘মানুষের চাহিদা দেখে বাড়ানো হয়েছে বগির সংখ্যা। আগে যেটি ২১টি বগি ছিল, সেটা করা হয়েছে ২৩টি। তবে প্রথম দিন ২০টি বগি নিয়ে এই ট্রেন ছেড়ে গেছে।’ পর্যায়ক্রমে যাত্রী চাহিদার ভিত্তিতে বগি বাড়ানোর কথা জানান তিনি।

ট্রেনটি ছাড়ার মধ্যে দিয়ে কক্সবাজার জেলাসহ বৃহত্তর দক্ষিণ চট্টগ্রামবাসীর দীর্ঘ ১৩০ বছরের স্বপ্ন বাস্তবে রূপ নিল। ট্রেন চলাচল ঘিরে কক্সবাজারের স্থানীয়দের মধ্যে আনন্দ ও উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। এ ছাড়াও প্রথম ট্রেনের যাত্রী হতে পেরে অনেকে আবেগঘন অনুভূতি প্রকাশ করেছেন।

ঢাকা থেকে আসা নাজনী-খালিদ দম্পতি বাসে টিকিট বাদ দিয়ে কিনেছিলেন ট্রেনের টিকিট। তারা বলেন, ‘প্রথম ট্রেন যাত্রার সাক্ষী হতে এমন পরিকল্পনা তাদের। এত সুন্দর স্টেশন দেশের কোনো ট্রেন স্টেশনে নেই। এত সাজানো, বিভিন্ন সজ্জায় সজ্জিত। এটা আসলেই আইকনিক।’

রামু উপজেলার বাসিন্দা সামিয়া সুলতানা বলেন, ‘চাইলে বাসে যেতে পারি। কিন্তু ট্রেনে যাব। প্রথমবার, একটু স্মরণীয় করে রাখব। নিজের জেলা থেকে দীর্ঘদিন পর ট্রেন যাচ্ছে ঢাকায়। সত্যি এটা ভীষণ আনন্দের।’

শুধু যাত্রীরা খুশি তাই নয়, খুশি ট্রেনের চালক থেকে শুরু করে আইকনিক স্টেশনসংশ্লিষ্টরাও। প্রথম বাণিজ্যিক ট্রেনের চালক এমএম আব্দুল আউয়াল বলেন, ‘দেশের অনেক জেলায় রোডে ট্রেন চালিয়েছি। কক্সবাজার একটি পর্যটন শহর। এ রোডে ট্রেন চালাব স্বপ্ন ছিল। যা আজকে বাস্তবে রূপ নিল। এ ছাড়া প্রথম ট্রেনের চালক হতে পেরে স্মরণীয় হয়ে থাকবে আজকের দিনটি।’

প্রথম ট্রেন যাত্রা উপলক্ষে আইকনিক স্টেশনজুড়ে ছিল কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা। নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন ট্যুরিস্ট পুলিশ, রেলওয়ে পুলিশ, গোয়েন্দা বিভাগের সদস্য ও আনসার সদস্যরা।

ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার রিজিয়নের অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ বলেন, ‘আমাদের সর্বোচ্চ প্রস্তুতি আছে যে- যারা এখন যাচ্ছেন তাদের যাত্রা যেন নিরাপদ হয়। তারা যেন আনন্দের সঙ্গে যেতে পারেন।’

লাইক কমেন্ড ও শেয়ার করে সাথে থাকুন-

আরো খবর

© All rights reserved | 2016 dhaka24.net by |

Theme Customized BY WooHostBD