পঞ্চম ও শেষ দিনে অবিশ্বাস্য কিছু না ঘটলে সিলেটে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টে জয় পেতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ করেছিল ৩১০ রান। জবাবে নিউজিল্যান্ড করে ৩১৭ রান। দ্বিতীয় ইনিংসে শান্তর সেঞ্চুরি, মুশফিক ও মিরাজের ফিফটিতে ৩৩৮ রান করে বাংলাদেশ। জয়ের জন্য নিউজিল্যান্ডের টার্গেট দাড়ায় ৩৩২ রান। এ লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) চতুর্থ দিন শেষে সাত উইকেটে ১১৩ রান করেছে নিউজিল্যান্ড। আগামীকাল শনিবার জয়ের জন্য সফরকারীদের দরকার ২১৯ রান। বাংলাদেশের চাই মাত্র তিন উইকেট।
৭ উইকেট হাতে রেখে চতুর্থ দিন শুরু করা বাংলাদেশ প্রথম সেশনে হারায় চার ব্যাটারকে। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর পাশাপাশি প্যাভিলিয়নে ফেরেন অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম। আগের দিনের ১০৪ রানের সঙ্গে আর মাত্র ১ রান যোগ করে আউট হন শান্ত। মুশফিক তুলে নেন ২৭তম হাফ সেঞ্চুরি। ৬৭ রান করে তিনি প্যাটেলের শিকার। প্রথম ইনিংসে পারফর্ম করতে না পারা নুরুল হাসান সোহান (১০) ও শাহাদাত হোসেন দিপু (১৮) পারেননি নিজেদের মেলে ধরতে।
তৃতীয় দিন শেষে মমিনুল হক ইঙ্গিত দিয়েছিলেন ৪০০ রানের লিড। শান্তর বিদায়ের পর যেভাবে ব্যাটাররা যাওয়া-আসার মিছিলে যোগ দেন, তাতে তা স্বপ্নই থেকে যায়। প্রথম সেশনে ৪ উইকেট হারানোর পর দলের লিড ৩০০ পার করার বড় কৃতিত্ব মেহেদি হাসান মিরাজের। তিনি তুলে নেন ক্যারিয়ারের পঞ্চম হাফ সেঞ্চুরি। বরাবর ৫০ রানে মিরাজ থাকেন অপরাজিত।
চা বিরতির আগে ৩৩২ রানের লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নামা নিউজিল্যান্ড শুরু থেকেই ধুঁকতে থাকে বাংলাদেশের নিখুত বোলিংয়ের সামনে। দলীয় রানের খাতা খোলার আগেই হারায় ওপেনার টম লাথামকে। পরে ডেভন কনওয়ে, কেন উইলিয়ামসন, হেনরি নিকোলসরা নিয়মিত বিরতিতে ফিরে যান প্যাভিলিয়নে। কনওয়ে ২২, উইলিয়ামস ১১ ও নিকোলসের ব্যাটে আসে ২ রান।
টপ অর্ডারের এমন যাওয়া-আসার মিছিলের মাঝে প্রতিরোধের দেয়াল গড়ে তুলেন ড্যারেল মিচেল। তিনি অপরাজিত আছেন ৪৪ রানে। মিচেলকে সঙ্গ দেওয়ার মতো ব্যাটার হিসেবে উইকেটে আসেন গ্লেন ফিলিপস, টম ব্লান্ডেলরা। কিন্তু তারা পারেননি মিচেলের লড়াইয়ের যোগ্য সঙ্গী হয়ে উঠতে।
বাংলাদেশের হয়ে প্রথম ইনিংসে ৪ উইকেট শিকার করেন তাইজুল ইসলাম। দ্বিতীয় ইনিংসেও তিনিই দলের সেরা বোলার। নিউজিল্যান্ডের হারানো ৭ উইকেটের চারটিই শিকার করেছেন এই বাঁহাতি স্পিনার। বিনিময়ে রান দিয়েছেন ৪০। নাঈম হাসান, মেহেদি হাসান মিরাজ ও শরিফুল ইসলাম নেন একটি করে উইকেট।
শেষদিনে বাংলাদেশের সামনে লক্ষ্য শুধু তিন উইকেট। মিচেল ছাড়া বাকিরা লোয়ার অর্ডারের ব্যাটার হওয়ায় স্বাগতিকদের জন্য কাজটা মোটেও কঠিন হওয়ার কথা না। প্রত্যাশামাফিক পারফর্ম করতে পারলে ঘরের মাঠে প্রথমবার নিউজিল্যান্ডকে হারানোর স্বাদ পাবে টাইগাররা।