1. shahinit.mail@gmail.com : dhaka24 : ঢাকা টোয়েন্টিফোর
  2. arifturag@gmail.com : ঢাকা টোয়েন্টিফোর : ঢাকা টোয়েন্টিফোর
শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫, ০৪:৫৩ অপরাহ্ন

ইতিহাস গড়লেন শেখ হাসিনা

Dhaka24 | ঢাকা টোয়েন্টিফোর -
  • প্রকাশ | বৃহস্পতিবার, ১১ জানুয়ারী, ২০২৪
  • ১৭৫ পাঠক
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বঙ্গভবনের দরবার হলে প্রধানমন্ত্রীকে শপথ বাক্য পাঠ করান। ছবি : বাসস

টানা চতুর্থবারসহ পঞ্চমবারের মতো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টা ৬ মিনিটে বিদেশি কূটনীতিক, উচ্চপদস্থ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তা এবং গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে ৭৬ বছর বয়সী প্রধানমন্ত্রীকে শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। এর পর শপথ ও গোপনীয়তা রক্ষার শপথে স্বাক্ষর করেন প্রধানমন্ত্রী। বঙ্গভবনের আলো ঝলমলে দরবার হলে অনুষ্ঠিত হয় শপথবাক্য পাঠ ও স্বাক্ষর অনুষ্ঠান। প্রধানমন্ত্রীর পর শপথ ও গোপনীয়তা রক্ষার শপথ নেন নবগঠিত মন্ত্রিসভার ২৫ মন্ত্রী ও ১১ প্রতিমন্ত্রী।

এর আগে আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের সর্বসম্মতিক্রমে শেখ হাসিনাকে সংসদ নেতা নির্বাচিত করার এক দিন পর এই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশের ইতিহাসে রেকর্ড গড়ে পঞ্চমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হন শেখ হাসিনা।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠকন্যা শেখ হাসিনা গত ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে গোপালগঞ্জ-৩ আসন থেকে বিপুল ভোটে বিজয়ী হন। ১৯৮৬ সালে প্রথম প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার পর থেকে তিনি নিজের জেলার এই আসন থেকে কখনো হারেননি।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের হত্যাযজ্ঞের রাতে বেঁচে যান শেখ হাসিনা ও তার ছোট বোন শেখ রেহানা। তখন তারা জার্মানিতে ছিলেন। বঙ্গবন্ধু পরিবারের বেঁচে যাওয়া এই দুই সদস্য জার্মানি থেকে ভারতে পাড়ি জমান। সেখানে তারা প্রায় ছয় বছর নির্বাসিত জীবন কাটান।

ভারতে নির্বাসনে থাকা অবস্থায় ৩৪ বছর বয়সে শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৮১ সালের ১৭ মে ভারত থেকে দেশে ফিরেন। দেশে ফিরে তিনি সামরিক শাসক জিয়াউর রহমানের শাসনের বিরুদ্ধে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে প্রচার শুরু করেন।

পরে তিনি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রপন্থি আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন। যার ফলে ১৯৯০ সালে সামরিক শাসনের পতন ঘটে। তবে ১৯৯১ সালের সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ তার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের কাছে পরাজিত হয়। ১৯৯৬ সালের জুনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ বিজয়ী হয়।

২০০১ সালে শেখ হাসিনা প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পাঁচ বছরের পূর্ণ মেয়াদে দায়িত্ব পালনের পর শান্তিপূর্ণভাবে পদত্যাগ করেন। ২০০১ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে পরিচালিত নির্বাচনে তার দল পরাজিত হয়। এরপর ২০০৮ সালের নির্বাচনে তার দল নিরঙ্কুশ বিজয় লাভ করে তিনি দ্বিতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তারপর ২০১৪, ২০১৮ এবং সর্বশেষ ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বিজয়ী হয়। টানা এই চার নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনি দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

২৫ মন্ত্রীর শপথ

শপথ নেওয়া মন্ত্রীরা হলেন আ ক ম মোজাম্মেল হক (গাজীপুর-১ আসন), ওবায়দুল কাদের (নোয়াখালী-৫), নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন (নরসিংদী-৪), আসাদুজ্জামান খান (ঢাকা-১২), ডা. দীপু মনি (চাঁদপুর-৩), মো. তাজুল ইসলাম (কুমিল্লা-৯), মুহাম্মদ ফারুক খান (গোপালগঞ্জ-১), আবুল হাসান মাহমুদ আলী (দিনাজপুর-৪), আনিসুল হক (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪), ডা. হাসান মাহমুদ (চট্টগ্রাম-৭), মো. আবদুস শহীদ (মৌলভীবাজার-৪), সাধন চন্দ্র মজুমদার (নওগাঁ-১), র আ ম ওবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩), মো. আব্দুর রহমান (ফরিদপুর-১), নারায়ণ চন্দ্র চন্দ (খুলনা-৫), আব্দুস সালাম (ময়মনসিংহ-৯), মহিবুল হাসান চৌধুরী (চট্টগ্রাম-৯), ফরহাদ হোসেন (মেহেরপুর-১), মো. ফরিদুল হক খান (জামালপুর-২), মো. জিল্লুল হাকিম (রাজবাড়ী-২), সাবের হোসেন চৌধুরী (ঢাকা-৯), জাহাঙ্গীর কবির নানক (ঢাকা-১৩), নাজমুল হাসান (কিশোরগঞ্জ-৬), স্থপতি ইয়াফেস ওসমান (টেকনোক্র্যাট) ও সামন্ত লাল সেন (টেকনোক্র্যাট)।

১১ প্রতিমন্ত্রী

প্রতিমন্ত্রীরা হলেন- সিমিন হোসেন রিমি (গাজীপুর-৪), নসরুল হামিদ (ঢাকা-৩), জুনায়েদ আহমেদ পলক (নাটোর-৩), মোহাম্মদ আলী আরাফাত (ঢাকা-১৭), মো. মহিববুর রহমান (পটুয়াখালী-৪), খালিদ মাহমুদ চৌধুরী (দিনাজপুর-২), জাহেদ ফারুক (বরিশাল-৫), কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা (খাগড়াছড়ি), রুমানা আলী (গাজীপুর-৩), শফিকুর রহমান চৌধুরী (সিলেট-২) ও আহসানুল ইসলাম টিটু (টাঙ্গাইল-৬)।

এর আগে সন্ধ্যা ৬টা ৫৫ মিনিটে অফ-হোয়াইট শাড়ি পরা শেখ হাসিনা প্রবেশ করেছিলেন দরবার হলে। তাকে আত্মবিশ্বাসী ও প্রাণবন্ত দেখাচ্ছিল। প্রশস্ত হলটিতে আমন্ত্রিত অতিথিদের ভিড় যেন উপচে পড়ছিল। তার কয়েক মিনিট পর দরবার হলে প্রবেশ করেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। প্রধানমন্ত্রী সন্ধ্যা ৭টা ৬ মিনিটে শপথ নেন। পবিত্র কোরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতির পত্নী ড. রেবেকা সুলতানা, প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন শেখ রেহানাসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন। ঐতিহাসিক এ অনুষ্ঠানে প্রায় ১ হাজার ৪০০ অতিথিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল।

গত ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। আওয়ামী লীগ ‘নৌকা’ প্রতীক নিয়ে ২২২টি আসনে জয়লাভ করে। জাতীয় পার্টি ১১টি আসন, স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ৬২ আসন এবং আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের শরিক দল-ওয়ার্কার্স পার্টি ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) একটি করে আসন পেয়েছে। নির্বাচনে একটি আসনে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি।

লাইক কমেন্ড ও শেয়ার করে সাথে থাকুন-

আরো খবর

© All rights reserved | 2016 dhaka24.net by |

Theme Customized BY WooHostBD