জামালপুরে পুলিশের কনস্টেবল পদে টাকার বিনিময়ে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতির অভিযোগে প্রতারক চক্রের তিনজনকে আটক করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। বুধবার (১৩ মার্চ) বিকেলে জামালপুর পুলিশ লাইন্সে ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল নিয়োগের চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে বিষয়টি জানান পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান।
পুলিশ সুপার জানান, ইসলামপুর উপজেলার বাটিকামারি গ্রামের প্রতারক শামীম হোসেন টাকার বিনিময়ে কনস্টেবল পদে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে একই উপজেলার আগুনেরচর গ্রামের তরিকুলের চাচা নবী হোসেনের সঙ্গে চুক্তি করেন। একই উপজেলার গাঁওকুড়া গ্রামের আশরাফ ঢালী তাদের মধ্যে মধ্যস্থতা করে পুলিশে চাকরি পাওয়ার পর তরিকুলকের সঙ্গে তার মেয়েকে বিয়ে করার শর্ত দেন এবং প্রতারক শামীম হোসেনকে ইসলামপুর উপজেলার রূপালী ব্যাংকের ধর্মকুড়া বাজার শাখার অনুকূলে ১৫ লাখ ৫০ হাজার টাকার চেক দেন। তাছাড়া চাকরিপ্রত্যাশী তরিকুলের চাচা নবী হোসেন সিকিউরিটি মানি হিসেবে মধ্যস্থতাকারী আশরাফ ঢালীকেও নগদ ছয় লাখ টাকা দেন।
বিষয়টি গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পেরে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ প্রতারক চক্রের সদস্য শামীম হোসেনকে পুলিশ লাইন্সসংলগ্ন জামালপুর পৌর এলাকার বেলটিয়া থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে এবং তার থেকে চেক ও টাকা জব্দ করে। পরে তার দেওয়া তথ্যে নবী হোসেন ও আশরাফ ঢালীকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ।
এর আগে বিভিন্ন ধাপ পেরিয়ে চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল পদে মোট ৫৮ জনের নাম ঘোষণা করেন পুলিশ সুপার। এদের মধ্যে ৪৯ জন পুরুষ, ৯ জন নারী।
পুলিশ সুপার ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল নিয়োগের চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে বলেন, ‘পুলিশে চাকরির জন্য একজনের মেধা ও যোগ্যতাই যথেষ্ট। অর্থের বিনিময়ে চাকরি পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আজ যারা চূড়ান্তভাবে ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে তারা প্রত্যেকেই তাদের মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতেই চাকরি পেয়েছেন। সেই সঙ্গে যারা প্রতারণার আশ্রয় নেবে তাদের আইনের আওতায় আনার জন্যও পুলিশ সচেষ্ট রয়েছে।’
পরে ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল হিসেবে নির্বাচিত সবাইকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান পুলিশ সুপার।